এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে এই এক বছরের মধ্যে পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের আইনি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কঠোরভাবে কার্যকর করতে বাজার তদারকি, উৎপাদন ও কারখানা বন্ধ এবং যন্ত্রপাতি জব্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা আকারে বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই বছরের ১০ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয়টি কার্যতালিকায় আসবে।
এছাড়া রুলে আইন অনুসারে নিষিদ্ধ পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের নিরাপদ বিকল্প নিরূপণে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য কেন একটি কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বন ও পরিবেশ সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, বস্ত্র ও পাট সচিবসহ আট বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের যত্রতত্র ব্যবহার, উৎপাদন ও বিক্রির বৈধতা নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) ১১টি সংগঠন এ রিট করে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আদেশের পর আইনজীবী রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সামগ্রীর দৌরাত্ম মারাত্বকভাবে বেড়ে চলেছে। এগুলো আমাদের ভূমির উর্বরতা কমাচ্ছে, বায়ু দূষণ ঘটাচ্ছে এবং সমুদ্রের জলজ উদ্ভিদ ও প্রতিবেশকে মারাত্মক হুমকির মধ্যে ফেলছে। ফলে প্লাস্টিকের উৎপাদন এবং ব্যবহার কমাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের মোট ১২৭টি দেশে নানাভাবে পলিথিন ব্যাগ এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সামগ্রীর উৎপাদন, বিপণন ও বিতরণে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। এ কারণে আমরা রিটটি করেছি।’