শুক্রবার এ তালিকার দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে ঢাকা।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতা শহর রয়েছে তালিকার প্রথম স্থানে। এছাড়া তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) আজ সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে ২৮৯ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস বিবেচিত হয় ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ-মার্কিন সহযোগিতা নিয়ে কেরি-মোমেনের ফোনালাপ
একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়া একিউআই সূচকে ৫০-এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। এ সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। তবে একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নতুন বৈশ্বিক জোটের সূচনা
একিউআই সূচকে ১৫১ থেকে ২০০ এর মাঝে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এ সময় প্রত্যেকের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর সংবেদনশীল মানুষদের ঝুঁকির মাত্রা থাকে গুরুতর।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সবার শীর্ষে ঢাকা
শীতের শুষ্ক মৌসুমে প্রতি বছরই ঢাকার বাতাস গুরুতর হয়ে উঠে। তবে এবার কোভিড-১৯ মহামারির কারণে চলাচল সীমিত এবং সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মনে করা হয়েছিল বাতাসের মানে উন্নতি হবে। কিন্তু নির্মাণ কাজের আধিক্যের কারণে বাতাস অস্বাস্থ্যকরই থেকে গেছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী