বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষক মোল্লা নাজিম নিজের এক একর জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলেন। টানা বৃষ্টিতে পুরো জমির ফসলই ডুবে গেছে। কিছু ধান গাছ এরই মধ্যে পচে গেছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে পানি না সরলে পুরো জমির গাছই নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তার।
কেবল বিশ্বম্ভরপুর নয়, জেলার আরও ৫-৬ উপজেলায় একইভাবে আমনের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাওরপাড়ের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বন্যার কারণে এবার বিলম্বে আমন চাষ করেছেন তারা। দুই দফা বন্যায় অনেক বীজতলা ডুবে গেলেও পুনরায় কৃষকরা আমনের আবাদ করেন। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডুবে গেছে অনেক জমি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ৬০ হেক্টর আমন জমি ডুবে গেছে বলে দাবি করলেও কৃষকরা বলেছেন, ডুবে যাওয়া জমির পরিমাণ এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার রিংকু দাস বলেন, এবার পানি সরতে সময় লাগছে। এর মধ্যেই কখনও টানা বৃষ্টি, আবার কখনও প্রখর রোদ। যার ফলে আমনের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১ উপজেলাতেই এবার আমনের চাষাবাদ হয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮১ হাজার ৩৮৭ হেক্টর।
কৃষি বিভাগের দাবি, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ৮ হেক্টর বেশি চাষাবাদ হয়েছে অর্থাৎ ৮১ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সফর আলী বলেন, ‘এবার বন্যার কারণে আমন বিলম্বে চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা এখন আবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে তেমন একটা ক্ষতি হবে না।’