আমন ধান
খাদ্য গুদামে আমন ধান দিচ্ছেন না বাগেরহাটের চাষিরা
বাগেরহাটে এবছর আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে। ধানের ফলনে লবণাক্ত এই অঞ্চলের চাষিরা খুশি। ফলন ভাল হলেও চলতি মৌসুমে বাগেরহাটের চাষিরা খাদ্যগুদামে আমন ধান বিক্রি করতে নিয়ে আসেনি। ফলে এবছর বাগেরহাট জেলায় এখনও পর্যন্ত এক ছটাক পরিমাণও আমন ধান সংগ্রহ হয়নি।
হাট-বাজারের চেয়ে সরকার নির্ধারিত সংগ্রহের মূল্যে মণ প্রতি প্রায় ১০০ টাকা কম ছিল। একারণে চাষিরা খাদ্য বিভাগের কাছে ধান বিক্রি করেনি।
এছাড়া সিন্ডিকেট এবং নানা ধরণের নিয়ম কানুনের কারণে চাষিরা খাদ্য বিভাগের কাছে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তবে চাল লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯২ শতাংশ সংগ্রহ হয়েছে বলে খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে।
চাষিরা বলছেন, সরকারিভাবে চাষিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহজে ধান কেনা উচিত। সেই সঙ্গে হাট-বাজারের চেয়ে সরকারি সংগ্রহ মূল্যে বেশি থাকতে হবে।
খাদ্য বিভাগ বলছে, শেষ সময় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাগেরহাটে আমন ধান সংগ্রহ হওয়ার আর সম্ভবনা নেই। হাট-বাজারের চেয়ে সরকারি মূল্যে কম থাকায় এখনও পর্যন্ত এক ছটাক পরিমাণও আমন ধান ঢোকেনি সরকারি গুদামে।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যের তালপাখা, ব্যস্ত বাগেরহাটের কারিগররা
জানা গেছে, সরকার অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই মৌসুমে আমন ধান-চাল সংগ্রহ চলবে। বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলা থেকে তিন হাজার ৯০২ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সরকারিভাবে সংগ্রহের মূল্যে প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৩২০ টাকা। কিন্তু, হাট-বাজারে ধান ১ হাজার ৪০০ থেকে, ১ হাজার ৪২০ টাকা মণ দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় এক ছটাকও ধান সংগ্রহ হয়নি।
জেলা খাদ্য বিভাগের তথ্য মতে, সরকারিভাবে বাগেরহাট সদরে ৪০৯ টন, মোড়েলগঞ্জে ১১৩৯ টন, রামপালে ৫০৫ টন,শরণখোলায় ৪৭৮ টন, মোংলায় ১৬০ টন, ফকিরহাটে ২৮৪ টন, মোল্লাহাটে ২০৭ টন, কচুয়ায় ৩৩৭ টন এবং চিতলমারী উপজেলায় ৩৮৩ টন ধান সংগহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া জেলার ৯টি উপজেলা থেকে ৩ হাজার ৩০৪ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ পরিমাণ চাল সংগ্রহ হয়েছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের সাইফুর রহমান নাথু জানান, তার প্রায় ২০ বিঘা ধানের জমি রয়েছে। তাদের জমিতে আমন এবং বোরো ধানের চাষ হয়। গত মৌসুমে সরকারি গুদামে আমন ধান বিক্রির জন্য চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, নিয়ম কানুন আর নানা কারণে শেষ পর্যন্ত সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে পারেনি। একারণে এই মৌসুমে তিনি সরকারি গুদামে ধান বিক্রির চেষ্টা করেনি।
ফতেপুর গ্রামের তরুন কুমার পাল জানান, এবছর সে চার বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছে। বিঘা প্রতি ৩০ মন করে ১২০ মন ধান ফলেছে। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানে আদ্রতা একটু বেশি এবং চিটা থাকলে সরকারি গুদামে ধান নিতে চায় না। এছাড়া সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে দৌড় ঝাপ করতে হয় বলে সে জানতে পেরেছে। আর এবছর হাট-বাজারে ধানের মূল্যে বেশি ছিল। সে কারণে তিনি সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী না।
বাগেরহাট সদরের বারুইপাড়া গ্রামের শেখ মুহাম্মদ মিজান জানান, দুই বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছে। ধান মারাই করার পর বাড়ি থেকে ব্যাপারী এসে ধান ক্রয় করে নিয়ে গেছে। সরকারিভাবে ধান ক্রয় করা হয় এমন খবর তিনি জানেন না।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে আশা জেগেছে বাগেরহাটের চাষিদের, টমেটো যাচ্ছে মালয়েশিয়ায়
বাগেরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) শাকিল আহমেদ জানান, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে হলে কৃষি কার্ড অথবা আইডি কার্ড থাকতে হবে। এর পর কৃষি বিভাগ থেকে অনুমোদন দেওয়ার পর কৃষকরা জনপ্রতি ১২০ কেজি থেকে ৩ হাজার কেজি পর্যন্ত ধান গুদামে নিয়ে আসতে পারবেন। ধানের আদ্রতা ১৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার প্রতিমণ আমন ধান সংগ্রহের মূল্যে ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করেছে। চাষিদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হলে টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা দেওয়া হবে।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) শাকিল আহমেদ আরও জানান, জেলায় ৩ হাজার ৯০২ টন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত জেলায় এক ছটাকও ধান সংগ্রহ হয়নি। ধান সংগ্রহের সময় প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন ধান সংগ্রহ চলবে। এই সময়ের মধ্যে ধান সংগ্রহ হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে চাল লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯২ শতাংশ সংগ্রহ হয়েছে বলে তিনি জানান।
এক ছটাকও আমন ধান সংগ্রহ না হওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে শাকিল আহমেদ জানান, হাট-বাজারের তুলনায় সরকার নির্ধারিত সংগ্রহের মূল্য কম হওয়ায় কারণে চাষিরা ধান বিক্রি করার জন্য তাদের কাছে আসছেন না। এছাড়া মুক্তবাজার অর্থনীতি হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের অধিকাংশ ধান উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে নিয়েছে। ফলে ধানের স্বাভাবিক সহজলভ্যতা ছিল না।
হাট-বাজারের সঙ্গে মিল রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ক্রয়ের পরামর্শ দিলেন ওই খাদ্য কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ১২শ’ পাখি উদ্ধার, ফিরল আপন ঠিকানায়
বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার জানান, জেলায় এবছর ৭৩ হাজার ২৩৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। মোট দুই লাখ ৭৭ হাজার ৮০০ টন ধান উৎপাদন হয়েছে। জেলায় মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৮ জন কৃষক পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার আমন ধান চাষি রয়েছেন। এবছর জেলায় আমন ধানের ফল ভাল হয়েছে। চাষিদের কাছ থেকে আরও সহজে ধান ক্রয়ের পরামর্শ দিলেন কৃষি কর্মকর্তা।
৪৬ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমন ধানের ভালো ফলনে খুশি চাষিরা
চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে ধানের দামও সন্তোষজনক হওয়ায় অনেকটা স্বস্তিতে আছেন চাষিরা।
তবে উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে কীটনাশক, সেচ খরচ ও সারের দাম কমানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে কৃষি বিভাগের আশা এবার জেলায় প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তাদের স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে। মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটাই-মাড়াইয়ের কাজ। আবাদ মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি নিয়ে শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া ও রোগ বালাই তুলনামূলক কম থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ২২ মন থেকে ২৫ মন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি সাড়ে ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা দরে। ফলন ও দর দুটোই আশানুরূপ থাকায় কৃষকদের মনে অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় রোপা আমন ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা
তারা বলছেন, এবছর বীজ, সারের কোনো সংকট ছিল না। কিন্তু কীটনাশক, সেচ খরচ ও সারের দাম বেশি ছিল। তাছাড়া কৃষি শ্রমিকের দামও বেশি। সরকার কীটনাশক, সেচ খরচ ও সারের দাম কমানোর উদ্যোগ নিলে তারা আরও বেশি আমন ধান আবাদে আগ্রহী হবেন।
সদর উপজেলার আতাহার এলাকার চাষি জাহাঙ্গীর বলেন, ‘১০ বিঘা জমিতে আমি আমন করেছি। ধানের চেহারা খুব ভালো। কয়েক দিন পর কাটা শুরু করব। আবাদের শুরুতে বৃষ্টি ছিল না। সেচ দিয়ে আবাদ শুরু করেছিলাম। পরে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। পোকামাকড়ের তেমন উপদ্রব ছিল না। আবহাওয়া ভালো আছে। আশা করছি বিঘায় ২৪ মন করে ফলন পাব। বর্তমানে ধানের বাজার দর সাড়ে ১২শ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা চলছে। এই দাম যদি না কমে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। ধানের আউড়(খড়) বিক্রি করেও ভালো টাকা পাওয়া যাবে, এতে আমাদের পোষাইয়ে যাবে।’
নাচোল উপজেলার নেজামপুর এলাকার আমন চাষি সেরাজুল জানান, এবার ধানের ফলন ২২ মন থেকে ২৫ মন পর্যন্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দামটাও মোটামুটি ভালো। কিন্তু কীটনাশক, সেচ খরচ, সার ও কৃষি শ্রমিকের দাম বেশি। এতে উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। সরকার যদি কীটনাশক, সেচ খরচ ও সারের দাম কমায় তাহলে আমরা কৃষকরা লাভবান হতে পারব। তাই আমাদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের এদিকে নজর দেওয়া দরকার। একি ধরনের কথা জানালেন অন্যান্য কৃষকরাও।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৫৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৫৪ হাজার ৪শ ১৫ হেক্টর জমিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ‘আমাদের এবার আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে শতকরা ১০১ ভাগ বেশি অর্জিত হয়েছে। এবার গত বছরের থেকে ফলন বেশি হয়েছে। গত বছর ফলন ছিল প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ৫১ মেট্রিক টন চাল। আর এবার ৩ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন। এ ফলন বৃদ্ধির কারণ হলো, আমরা প্রণোদনার মাধ্যমে আধুনিক জাতের যে বীজগুলো কৃষকদের মাঝে দিয়েছিলাম সেটার একটা দিক রয়েছে এবং আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প এবং পরামর্শের মাধ্যমে উফসি জাতগুলো চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। কৃষকরা সময়মতো বীজ ও সার পেয়েছে এবং সেটি মাঠে প্রয়োগ করেছে। কৃষক এখন কাটাই-মাড়াইয়ে ব্যস্ত। এখন পর্যন্ত শতকরা ১৬ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। আমরা আশা করছি এ বছর আমাদের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে বেশি হবে। আশা করছি আমরা এবার প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন করতে সক্ষম হব। যেটি গত বছর ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার মেট্রিক টন।’
আরও পড়ুন: ‘ভবদহের জলাবদ্ধতায় অভয়নগরে পূরণ হয়নি আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা’
১৩৮ দিন আগে
নওগাঁয় রোপা আমন ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা
নওগাঁয় রোপা আমন ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষকরা জমি থেকে ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় নিয়ে এসে বিশেষ কৌশলে ধানগাছ থেকে ধান গুলোকে আলাদা করতে এবং গৃহিনীরা সেই ধান ঝেড়ে পরিষ্কার করে গোলায় ভরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বুধবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত জেলার মোট জমির শতকরা ২৫ ভাগ খেতের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, চলতি খরিপ-২/২০২৪-২৫ মৌসুমে মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। জেলার ১১টি উপজেলায় আমন ধান চাষের পরিমাণ হচ্ছে- নওগাঁ সদরে ১১ হাজার ২৫০ হেক্টর, রানীনগরে ১৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর, আত্রাইয়ে উপজেলায় ৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর, বদলগাছিতে ১৪ হাজার ৪৮৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২৮ হাজার ৯২৫ হেক্টর, পত্নীতলায় ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর, ধামইরহাটে ২১ হাজার ১০ হেক্টর, সাপাহারে ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর, পোরশায় ১৫ হাজার ২৯০ হেক্টর, মান্দায় ১৬ হাজার ১০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা।
জেলার কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক চলতি মৌসুমে স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৩৪, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৫২, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯০, ব্রি-ধান-৯৩, ব্রি-ধান-৯৪, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ এবং স্থানীয় জাতের মধ্যে বিন্নাফুল, বিনা ধান-১৭ এবং চিনি আতপ জাতের ধান চাষ করেছেন।
কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, উল্লিখিত পরিমাণ জমি থেকে চলতি মৌসুমে ৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে। চালের আকারে যার পরিমাণ ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭০ মেট্রিকটন।
আরও পড়ুন: ‘ভবদহের জলাবদ্ধতায় অভয়নগরে পূরণ হয়নি আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা’
১৪০ দিন আগে
‘ভবদহের জলাবদ্ধতায় অভয়নগরে পূরণ হয়নি আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা’
ভবদহ এলাকার জলাদ্ধতায় যশোরের অভয়নগরে পূরণ হয়নি আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে দুঃশ্চিন্তা গ্রাস করছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। প্রতিবছরই রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন।
উপজেলার কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল হাইব্রিড ১ হাজার ৭৯০ হেক্টর, উফসী ৫ হাজার ৮২৫ হেক্টর এবং স্থানীয় ২৫ হেক্টর মিলে মোট ৭ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে অর্থাৎ ৭ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে চাষ হলেও ভবদহে জলাবদ্ধতার কারণে ১ হাজার ৮২৬ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আমন ধানের উৎপাদন কম হবে প্রায় ৯ হাজার ৩৮ মেট্রিক টন। এবার আমন উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমিতে। গতবছর আমন উৎপাদন হয়েছিল ৭ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এ বছর ১ হাজার ৭৩৬ হেক্টর কম জমিতে রোপা আমন উৎপাদন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দলী ইউনিয়নের পুরো ৮৩৫ হেক্টর জমির আমন উৎপাদন।
কৃষি কার্যালয় আরও জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভায় আমন আবাদ হয়েছিল ৮৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু ভবদহ জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩১০ হেক্টর জমির ধান। উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছিল ১ হাজার ১৫৪ হেক্টর জমিতে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৩৩ হেক্টর জমির ধান। সুন্দলী ইউনিয়নে চাষ হয়েছিল ৮৩৫ হেক্টর জমিতে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরো ৮৩৫ হেক্টর জমির ধান। চলিশিয়া ইউনিয়নে চাষ হয়েছে ১ হাজার ১১ হেক্টর জমিতে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০ হেক্টর জমির ধান। পায়রা ইউনিয়নে চাষ হয়েছে ৬০৫ হেক্টর জমিতে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮৮ হেক্টর জমির ধান। সবচেয়ে বেশি আমন আবাদ হয়েছে শ্রীধরপুর ইউনিয়নে চাষ হয়েছে ১ হাজার ৩৯২ হেক্টর জমিতে। বাঘুটিয়া ইউনিয়নে চাষ হয়েছে ১ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে, শুভরাড়া ইউনিয়নে চাষ হয়েছে ৪৬০ হেক্টর জমিতে। সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে চাষ হয়েছে মাত্র ১৪০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড় গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল দাস বলেন, ‘শুড়িরডাঙ্গা বিলে বর্গা নিয়ে রোপা আমন ধান লাগিয়েছিলেন ১ একর জমিতে। জলাবদ্ধতার কারণে পুরো ধানই নষ্ট হয়ে গেছে। পরের জমি বর্গা নিয়ে স্বর্ণা জাতের আমন ধান চাষ করেছিলাম।’
উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, ‘চাত্রার বিলে দুই বিঘা জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছি। একে তো বাড়ির উঠানে পানি। তারপর পুরো ধানই নষ্ট হয়ে গেল। পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে কিভাবে চলব, তাই নিয়ে ভীষণ দুঃশ্চিন্তায় আছি। সরকার যদি একটু ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে তাহলে বাঁচা যায়।’
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, ‘ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার জন্য আমনের এই উৎপাদন কম হয়েছে। জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তবে যেসব জলাবদ্ধ এলাকা থেকে আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে সেখানে স্বল্পমেয়াদি ও উচ্চফলনশীল বিনা-১৪ ধান আবাদের পরিকল্পনা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সময়ের সবজি উৎপাদন বাড়ানোর ওপরেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সবজি চাষ বাড়ানোর জন্য ৪৭৫ জনকে উফশী সবজি বীজ ও জনপ্রতি নগদ ১ হাজার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বোরো মৌসুমে যাতে বেশি ধান উৎপাদন করা যায় সেদিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব।
১৪১ দিন আগে
ঘরে উঠছে আমন ধান, উৎসবমুখর তিস্তার চর
লালমনিরহাটের তিস্তাবিধৌত চরাঞ্চলে লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। নবান্নের আনন্দ কৃষকদের মনে। আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে কাটছে ব্যস্ত সময়। বন্যায় ক্ষতি কম হওয়ায় এবছর তিস্তার চলে আমনের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের মুখে ফিরেছে হাসি।
কৃষকরা জানান, তিস্তার চরে প্রতিবছর বন্যায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও এবছর তেমন ক্ষতি হয়নি। প্রতিবছর তুলনায় চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় ফসল কম হলেও ধানের বর্তমান বাজার দরে সন্তুষ্ট তারা।
তারা আরও বলেন, চলতি বছর দোনপ্রতি (২৭ শতক) ১২ থেকে ১৪ মণ করে আমন ধান পেয়েছেন তারা। এ বছর সার, কীটনাশক, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন ধান উৎপাদনে খরচও হয়েছে বেশি। তবে ধানের মূল্যও বেশি থাকায় খরচ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না তাদের। প্রতি মণ ধানের বাজার মূল্য ১২শ থেকে ১৩শ ৫০ টাকা। ভালো দামে ধান বিক্রি করতে পারায় ফলন কম হলেও লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন তারা।
হাতীবান্ধার চর-সির্দুনায় গিয়ে দেখা যায়, তীব্র রোদের মধ্যেই তিস্তার চরে কৃষকরা আমন ধান কাটছে। সেখানেই ধান মাড়াই করে বস্তায় নেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ কৃষকের বাড়ি নদীর তীরবর্তী এলাকায় হওয়ায় নৌকা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। খেতের পাশে ছোট ছোট টিনের চালার ঝুপড়ি ঘরও বানিয়ে নিয়েছেন অনেকে। সেখানে চলছে বিশ্রাম ও খাবার খাওয়া। আমন ধান ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করে তিস্তার চরে যেন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
কৃষক আফজাল উদ্দিন বলেন, এ বছর খরার কারণে আগের তুলনায় ধান কম হয়েছে। তারপরেও দোন প্রতি ১২/১৪ মণ করে ধান হবে। তাছাড়া এখন বাজারে ধানের দাম বেশি তাই এবার লোকসান হওয়ার শঙ্কা নেই।
কালীগঞ্জে তিস্তার চরের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর কষ্টে রোপা আমন ধান তিস্তা নদীর বন্যায় তলিয়ে যায়। দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় ধান গাছে পচন ধরে। চলতি বছর তিস্তায় স্বল্প মেয়াদী বন্যা হওয়ায় ধান ভালো হয়েছে। এবার লাভবান হব।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে চলতি আমন মৌসুমে ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছে কৃষকরা। বর্তমানে চরে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যদিও এবার খরায় আমনের ফলন আশানুরূপ হয়নি, তবে স্থানীয় ধানের বাজার মূল্য বেশি থাকায় চরের কৃষকরা লাভবান হবেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরাঞ্চলের আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বর্তমান বাজার মূল্য ভালো, কৃষকরা এবার মোটামুটি লাভবান হবেন।
কৃষকরা আমন ধান তোলার পর ভুট্টা, গম, আলু, শাকসবজি ইত্যাদি চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
১৬০ দিন আগে
আনন্দে কৃষক, জগন্নাথপুরে আমন ধান কাটা শুরু
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। ধানে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে। তবে এবার আমন ধান রোপনকালে অনেক দুর্ভোগের শিকার হন কৃষকরা। অনেকে আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে নমুনা ধানও কাটা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
এব্যাপারে কৃষকরা জানান, প্রথমে ধান রোপনকালে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে জমি তলিয়ে গিয়ে নিচু এলাকার অনেকের জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবার দ্বিতীয় বার রোপন করতে হয়েছে। অনেকে আবার তৃতীয় বারও রোপন করেছেন। বারবার জমির ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হলেও হাল ছাড়েননি হার না মানা কৃষকরা। তারা আবারো ধান রোপন করেছেন। এখন জমিতে বাম্পার ফলন দেখে তাদের সকল কষ্ট যেন স্বার্থক হয়েছে।
তারা জানান, এবার এক সাথে ধান কাটা শুরু হয়নি। প্রথমে যাদের ধান নষ্ট হয়নি, শুধু তাদের ধান কাটা শুরু হয়েছে। পরে রোপনকৃত ধান এখনো কাটা শুরু না হলেও জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে আংশিক আমন ধান কাটা চলছে। আরও কিছু দিন পর পুরোদমে ধান কাটার ধুম পড়বে।
যদিও প্রতি বছরের মতো এবারো সরকারি সহায়তা ও সার্বক্ষণিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের জমি আবাদে সাহস জুগিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আমন ধান সংগ্রহ নিয়ে শঙ্কা
ধানকাটা অনুষ্ঠানে সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অতিরিক্ত পরিচালক দিলিপ কুমার অধিকারী, জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার, উপ-সহকারি কর্মকর্তা রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার জানান, এবার জগন্নাথপুর উপজেলায় ৯ হাজার ৪৩০ হেক্টর আমন জমি আবাদ হয়েছে। এবার সরকারি ভাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন ধান। তবে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকরা সাহসিকতার পরিচয় যাচ্ছেন। যার ফলে বাম্পার ফলন উঠছে কৃষকদের গোলায়।
১২৫১ দিন আগে
প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার
দেশের প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে এবার সরাসরি ২ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
১৬২৫ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে আমন খেতে পোকার আক্রমণে কৃষকের মাথায় হাত
দেশের উত্তরের কৃষি নির্ভর জনপদ ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন ফসল ঘরে তোলার আগেই আমন ধানের খেতে পাতা ব্লাস্ট ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেড়ে গেছে। এতে করে এখন দিশেহারা অবস্থা স্থানীয় কৃষকদের।
১৬২৭ দিন আগে
সুনামগঞ্জে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে আমনের জমি, দুশ্চিন্তায় কৃষক
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় আমন ধানের জমি তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
১৬৫৮ দিন আগে
সুনামগঞ্জে বন্যা: পচে যাওয়া বীজতলা নিয়ে দিশেহারা কৃষক
সুনামগঞ্জে তিন দফা ভয়াবহ বন্যায় আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘদিন পানির নিচে থেকে পচে গেছে ধানের চারা।
১৭১৬ দিন আগে