জিসিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মন্ত্রীদের পাশাপাশি জিসিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক ভারকুইজেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
জিসিএ বাংলাদেশ কার্যালয়ের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করবে। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।
প্রেস কনফারেন্সের পর দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কর্মরত বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী জিসিএ সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ ফোরামে অংশগ্রহণ করবেন। প্যানেল আলোচনার পর ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের থিমেটিক এম্ব্যাসেডর সাইমা ওয়াজেদ হোসেন ইয়ুথ অ্যাডাপ্টেশন নেটওয়ার্কের উদ্বোধন করবেন।
জিসিএ আঞ্চলিক কেন্দ্রটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের নতুন ভবনে অবস্থিত।
ঢাকায় আঞ্চলিক অভিযোজন কেন্দ্রের (জিসিএ) উদ্বোধন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে উৎসর্গ করা হয়েছে।
জিসিএ বাংলাদেশে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কিছু দয়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকবেন।
আশা করা হচ্ছে, রটারডাম গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের সদরদপ্তর একটি ম্যাট্রিক্স কাঠামোর মাধ্যমে জিসিএ বাংলাদেশকে সমর্থন করবে। এটি বাংলাদেশের সভাপতিত্বে জলবায়ুভিত্তিক দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা সিভিএফ এবং ভি২০ এর সচিবালয় হিসেবেও কাজ করবে। এছাড়াও জিসিএ সুনীল অর্থনীতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রাখার জন্য ডেল্টা কোয়ালিশনের সচিবালয় হিসেবে কাজ করবে।
২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন এবং ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য কপ২৬ এর প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে জিসিএ বাংলাদেশ কাজ করবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় অভিযোজন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে জিসিএ বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সহায়তা ও উন্নয়ন কার্যক্রম চালাবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে এটি আন্তর্জাতিক সহায়তা কাজে লাগাবে।