পরিবেশবাদী আইনজীবীদের সংগঠন বেলা’র এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে, ৮৪ কিলোমিটার ইছামতি নদীকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
পাশাপাশি সিএস জরিপ বা পরচা অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ এবং দূষণ ও দখলমুক্ত করে দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
ভূমি, পরিবেশ ও পানিসম্পদ সচিব এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন মিনহাজুল হক চৌধুরী, তাকে সহযোগিতা করেন সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
শুনানির পর সাঈদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাবনা জেলায় প্রবাহিত ইছামতি নদী এক সময় সচল ছিল। পাবনাবাসীর জন্য এটি ছিল আর্শীবাদ। কিন্তু বর্জ্য ও দূষণে বর্তমানে নদীটি মৃত প্রায়। নদী দখল ও বাধা দেয়ায় নদীর মধ্যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে নদী রক্ষায় আদালতে রিট করা হয়েছে। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছে।’
ইছামতি নদীর দখল ও দূষণ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করে বেলা।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎপত্তিস্থলে বাঁধ দেয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইছামতি নদীর পানির প্রবাহ। এরপর থেকে এ নদীর দুই পাশের নিচু জায়গা ও জলাভূমি বালু দিয়ে ভরাট করতে থাকে অবৈধ দখলদাররা।