খুলনার আটরা শিল্পাঞ্চল এলাকার চয়নের বাবা শরিফ সামছুর রহমান ব্যক্তি মালিকানাধীন আফিল জুট মিলের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা ছিলেন। মিলটি বন্ধ হওয়ার পর সামছুর রহমান ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। চরম মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছিল তাদের।
এই অবস্থায় পরিবারের হাল ধরেন বেকার ছেলে শরিফ ওবায়দুর রহমান চয়ন। মাত্র ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আফিল জুট মিলস শ্রমিক কলোনীতে এক হাজার মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামার শুরু করেন।
বর্তমানে তার খামারে ১৫০টি লেয়ার মুরগি, ৫০০ সোনালী মুরগি রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১৫০-১৭০টি ডিম উৎপাদন হয় তার খামার থেকে। যার বাজার মূল্য প্রায় এক হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: দাকোপে ফসলি জমি ৫ বছরে কমেছে দেড় হাজার হেক্টর
চয়ন শরীফ বলেন, ‘বেসরকারি সংস্থা থেকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ ব্যবসায় আসি। মিলটি বন্ধ হওয়ায় চরম অর্থকষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করেছি। বর্তমানে মুরগির খামার করে বাবা-মাসহ পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছি।’
চয়নের সাথে তার স্ত্রী মাফিয়া বেগমও খামারটিতে তাকে সহযোগিতা করেন। বর্তমানে খামারটিতে লেয়ার মুরগি, সোনালী মুরগি, রাজহাঁস, পাতিহাঁস, চিনাহাঁস ও কবুতর রয়েছে।
ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘সরকারি নানা উদ্যোগের সাথে তালমিলিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের এমন চেষ্টা প্রশংসনীয়।’
এলাকার যুবকেরা এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে বেকারত্ব দূরসহ এলাকার আইনশৃংখলা বজায় থাকবে বলে তিনি মনে করেন।