জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সুসংগঠিতভাবে প্রতিটি এলাকায় অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন শুধু ঢাকা শহরে নয়, দেশের সব অঞ্চলে এই অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সরকারের অর্জন নিয়ে ১১৩৭ ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা।
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'তারা (বিএনপি-জামায়াত) যদি কোনো জায়গায় এ ধরনের অগ্নিসংযোগ করে, তাহলে আপনাকে সেখানে কতজন বিএনপি বা জামায়াতের লোক আছে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) কাছে হস্তান্তর করতে হবে।’
তিনি বলেন, জনগণের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করা তার দলের দায়িত্ব, যাতে এসবের কোনো ক্ষতি না হয় তা দেখা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , ‘আমাদের কিছুই নেই। আমাদের কোনো পরামর্শদাতা নেই (মুরুব্বি)। আমাদের বাংলাদেশের জনগণ আছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক সংযোগ-জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার: ১ নভেম্বর ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা-মোদি
শেখ হাসিনা তার দলের সব নেতা-কর্মীকে এমনভাবে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত একজন অপরাধীও ছাড়া না পায়। তিনি বলেন, 'আগুন লাগানোর সময় যদি কেউ হাতেনাতে ধরা পড়ে, তাহলে তাকে একই আগুনে নিক্ষেপ করতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, সেই পুড়িয়ে দেন... ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে। যদি তাই হয়, তাহলে তারা শিক্ষা নেবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সিনিয়র নেতা শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মির্জা আজম, তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন (রিমি), সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞ, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান শেখ হাসিনার