অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের হিসাব বিরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে মামলায় তাকে দেয়া অর্থ দণ্ড স্থগিত করেছেন আদালত।
সোমবার বিচারপতি মো.সেলিমের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম পৃথক ধারায় তাকে পাঁচ ও তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। পরে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া এ আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা করা হয়। মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম । তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বাবরের বিরুদ্ধে সাত কোটি পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ছয় কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দু’টিতে এফডিআর-এ ছয় কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপন করার কথা উল্লেখ করা হয়।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও দুই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ দুটি মামলা এখন হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে বসতে পারবেন না সেই বিচারক