বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের ভিত্তি ও ইতিহাস একসঙ্গে গড়ে তুলতে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতকে অনেক কিছু করতে হবে।
গত এক দশকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অনেক সাফল্য অর্জন করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুটি দেশ রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, উন্নয়নমূলক, সাংস্কৃতিক, নিরাপত্তা এবং এমনকি জনগণের সাথে জনগণের সংযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অংশীদার।’
হাইকমিশনার বলেন, আমাদের এখন নিশ্চিত করতে হবে যে ভবিষ্যত প্রজন্ম এই ইতিহাস বুঝতে পারে, কারণ আজকের তরুণরাই এই অংশীদারিত্বকে অপরিবর্তনীয় করে তুলবে।
সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' পালিত
বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সেনাপ্রধান, সরকারের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, ব্যবসায়ী ও শিল্পনেতা, গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিয়েছে। এটি আমাদের আদর্শিক মানচিত্রকেও বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে, সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং ভাষার সাধারণ বন্ধন বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী একসাথে থাকতে না পারার মতো মিথ্যা তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে।
আরও পড়ুন: ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ আরও সহযোগিতা পাবে: শ্রিংলা
তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম বর্বরতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায়ের বিজয়ের অনিবার্যতার ওপর জোর দেয়।
অনুষ্ঠানে ২০২০ ও ২০২১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানের জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে তাদের সংবর্ধিত করা হয়।
৫০ বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয়ের ১০ দিন আগেই, ভারত ও ভুটান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
গান বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী জনাব কৌশিক হোসেন তাপসের পরিচালনায় একটি জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদযাপনের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের ৫০ জন বিশিষ্ট শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: বাণিজ্য ও সংযোগের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের আরও ১৮টি দেশে একসঙ্গে মৈত্রী দিবস পালিত হয়েছে।