দেশে আজ গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার জনগণের ইচ্ছাকে দমনের চূড়ান্ত উপায় হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে বর্বর গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এরপরও মাত্র ৯ মাসেরও কম সময়ের যুদ্ধে বাঙালিদের স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর বিজীয় আওয়াী লীগকে ক্ষমতা গ্রহণে বাধা দেওয়ার নীল নকশা বাস্তবায়নে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ঢাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ চালায়।
'অপারেশন সার্চলাইট' নামের ওই আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের বাঙালি সদস্য ও পুলিশ, ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, বাড়িঘর ও সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালিয়েছে এবং ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে।
পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার সাক্ষী ছিল ওই রাতটি।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর থেকে দেশে অষ্টমবারের মতো দিনটি সরকারিভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে ক্ষমতাসীনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গণহত্যা নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গীতিধর্মী নাটকের আয়োজন করছে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
এদিকে শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।