যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে দেশে পালিত হবে সৌভাগ্য ও ক্ষমার রজনী পবিত্র শবে বরাত।
আরবি শব-ই-বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। আরবি শাবান মাসের ১৫ তম রজনীতে এটি পালিত হয়। মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তার সকল সৃষ্টির অতীত আমলের হিসাব নিয়ে আগামী বছরের জন্য তাদের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।
মুসলিম ধর্ম বিশ্বাসীরা আজকে সারা রাত নামাজ পড়েন, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, নিজের ও সমগ্র মানবজাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
তারা রাতের খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিশেষ এবং ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার তৈরি করেন। যেমন- হাতে তৈরি রুটি, গরুর মাংস, হালুয়া ইত্যাদি।
পবিত্র শবেবরাতকে সামনে রেখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীতে বিস্ফোরক দ্রব্য বহন ও পটকা ফাটানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বুধবার ডিএমপির এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। শব-ই-বরাতের পবিত্রতা বজায় রাখতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে পালন নিশ্চিত করতে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: পবিত্র শবে বরাত ১৮ মার্চ
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো এই পবিত্র দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে এবং সংবাদপত্রগুলো রাতের তাৎপর্য তুলে ধরে নিবন্ধ প্রকাশ করবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
তারা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পবিত্র শব- ই-বরাত পালন করার জন্য মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমত ও বরকতের পাশাপাশি আমরা শব-ই-বরাতের পবিত্র রাতে দেশের অগ্রগতি ও কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের জন্য প্রার্থনা করব।
তিনি এ উপলক্ষে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার এবং দুস্থ ও দরিদ্রদের সহায়তা করার আহ্বান জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শব-ই-বরাতের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে সকলকে মানবকল্যাণ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী সকল প্রকার অন্যায়, সহিংসতা ও কুসংস্কার দূর করে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে ইসলামের চেতনা প্রতিষ্ঠা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আজ পবিত্র শবে মিরাজ