বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালনে আমরা বিস্তারিত পদক্ষেপ নিয়েছি। নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্ট, সব আদালতে জন্মশতবার্ষিকী বছরব্যাপী পালন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সচেতন। আমরা সব জজ সাহেব বসে সিদ্ধান্ত নেব এটা নিয়ে কি করা যায়। এখন কোর্ট বন্ধ আছে (২৮ মার্চ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট ছুটি)। কোর্ট খোলার আগে আমরা একবার সবাই বসবো। বসে বিচারপ্রার্থী যারা আছেন তাদেরও যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোর্ট খোলার আগেই আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব তখন আপনাদের সেটি জানাবো।’
নিম্ন আদালতে জনসমাগম বেশি হয় সেক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের ব্যাপারেও কি সিদ্ধান্ত নেবেন জানতে চাইলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নিম্ন আদালত যেহেতু হাইকোর্টের অধীনে সুতরাং সব ব্যাপারেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
‘কারণ লক্ষ লক্ষ বিচারপ্রার্থী রয়েছে, তাদের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। পরিপূর্ণভাবে যদি কোর্ট বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যাবে। কারণ অনেকেই জরুরি বিষয় নিয়ে কোর্টে আসে। সবাই বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব,’ যোগ করেন তিনি।
এর আগে প্রধান বিচারপতি মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করেন।
প্রথমেই প্রধান বিচারপতি ‘কুরচি’ নামে একটি বৃক্ষ রোপন করেন। এরপর আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ‘কাঞ্চণ’ বৃক্ষ রোপন করেন।
‘বকুল’ রোপন করেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, ‘পলাশ’ রোপন করেন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, ‘শিমুল’ রোপন করে বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী, আর ‘শিউলি’ রোপন করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।
এসময় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরাও উপস্থিত ছিলেন।