শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রক্টর আবদুল কাইউমসহ ২০ জন।
এছাড়া উপাচার্য ও প্রভোস্ট ছাড়াও পদত্যাগ করেছেন ৪টি হলের প্রভোস্ট, কয়েকজন হাউজ টিউটর, শরীর চর্চা দপ্তরের পরিচালক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, লাইব্রেরিয়ানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও ৭ জন সহকারী পরিচালকের পদত্যাগ
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
এরপর প্রক্টর আবদুল কাইউম ববির রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়ে প্রথমে পদত্যাগ করেন। এরপর উপাচার্য বদরুজ্জামান ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করেন।
ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য ও প্রক্টরসহ মোট ২০ জন পদত্যাগ করেছেন। এ পদত্যাগের কারণে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে না। পরীক্ষা-ক্লাস নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে উপাচার্য না থাকায় আর্থিক অনুমোদনের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেবে। ববির মতো অবস্থা দেশজুড়ে অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই মনে করছি অন্তবর্তীকালীন সরকার উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে ববির কার্যক্রমে গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবেন।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, ‘উপাচার্য ও প্রক্টর ছাত্র আন্দোলনে অসহযোগিতা করেছেন। আন্দোলন দমাতে ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি করতে তারা চেষ্টা চালিয়েছিলেন।’