নিহতরা হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সৈয়দ শাহ আলম(৫৫), গলাচিপা উপজেলার রাশেদ(৫), ভোলার চরফ্যাশনে মো. সিদ্দিক(৭২), বোরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলাম(৩৫), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার শাহজাহান মোল্লা(৫৫) ও গুলেনুর বেগম(৭০), ইন্দুরকানীর শাহ আলম(৫০), যশোরের চৌগাছার রাবেয়া(১৩) এবং ক্ষ্যান্ত বেগম(৪৫), ঝিনাইদহের নাদিয়া বেগম(৫৫), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সালাহউদ্দিন(১৬) এবং সাতক্ষীরার একজন মারা গেছে।
ইউএনবির খুলনা সংবাদদাতা জানান, কয়রা উপজেলার কয়েক শতাধিক বাড়িঘর এবং মাছের ঘেরগুলো আম্পানের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে।
উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম ও উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান জানান, দুটি ইউনিয়নের অধীনে ১১টি পয়েন্টে নদীর বাঁধ ভেঙে পড়ে বিশাল জমি প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলায় কয়েক শতাধিক গাছ উপড়ে পড়ে বিশাল ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
ইউএনবির নাটোর সংবাদদাতা জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নাটোরে বুধবার রাতে বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টানা বৃষ্টির কারণে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে এবং ঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি গাছ উপড়ে গেছে।
বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক এবং জেলার অন্যান্য সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল স্থগিত রয়েছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সুপার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি কমাতে বাংলাদেশে কয়েক লাখ মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তবে অত্যন্ত সংক্রামক করোনাভাইরাসটির প্রকোপে সরিয়ে নেয়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সর্বশেষ আবহাওয়া অফিসের বুলেটিন অনুসারে ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুর্বল হতে থাকায় বিপদ সংকেত নামিয়ে মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়, ঝিনাইদহ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে সকাল ৯টায় রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্বদিক অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।