মৃতদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনে আরও মৃত ১২টি হরিণসহ ২ দিনে ৫১টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে মিলেছে আরও ১২টি মৃত হরিণ। এনিয়ে দুই দিনে সুন্দরবন থেকে মৃত ৫১টি হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
বুধবার (২৯ মে) সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কটকা ও কচিখালী এলাকা থেকে বন বিভাগের সদস্যরা মৃত অবস্থায় হরিণগুলো উদ্ধার করে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দোর নেতৃত্বে বুধবার সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে বন বিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করছে। তবে সুন্দরবন বিভাগ এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেনি রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, তিনি নিজে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন। বনের কটকা থেকে মৃত অবস্থায় দুটি হরিণ, কচিখালী থেকে ১০টি হরিণ এবং একটি বন্য শূকর উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ৩৯টি মৃত হরিণ ও একটি বন্য শূকর সুন্দরবন থেকে উদ্ধার করা হয়। মৃত হরিণ ও বন্য শূকর মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানিতে ভেসে যাওয়ার সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে জীবিত অবস্থায় ১৭টি হরিণ উদ্ধার করা হয়।
মিহির কুমার দো আরও বলেন, ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রবিবার এবং সোমবার দিনে ও রাতে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারে চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট পানি বেড়ে যায়। জোয়ারের পানি সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত করে। পানিতে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী আবাসস্থল হারিয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ পালার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর অনেক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলোচ্ছাসে সুন্দরবনে বাঘ ও হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী আবাস্থল হারিয়ে ফেলে। বনপ্রাণী ও বনের গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি সরজমিনে দেখে তালিকা করার জন্য খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এবং সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বনের ওই কর্মকর্তারা বুধবার সুন্দরবন সরজিমেন পরিদর্শন করছেন। তালিকা পাওয়ার পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ আঘাতে সুন্দরবনে প্রাণ হারিয়েছে ২৬ হরিণ
বাগেরহাটে ২৯ কেজি হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার ১
৬ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ২ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ড সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করে। ৫ জানুয়ারি ট্রলারটি ডুবে গেলে ওই দুই জেলে নিখোঁজ হন।
নিহত দুই জেলে হচ্ছেন- বরগুন জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ইউসুফ (২৫) ও একই গ্রামের মো. আমিনের ছেলে বায়েজিদ (২০)।
কোস্ট গার্ড কচিখালী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কাজী শামিনুল বারি জানান, নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধানে ৬ জানুয়ারি থেকে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পারিচালনা করে।
উদ্ধার অভিযান চলাকালে বুধবার ভোরে সাগরের পদ্মা সুইচের ঘোপ এলাকায় ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত ইউসুফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদ্মার চরের কাছ থেকে বায়েজিদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিখোঁজের ৪ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
দুই জেলের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। এর আগে ৬ জানুয়ারি ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করা হয়।
কাজী শামিনুল বারি আরও জানান, দুই জেলে ৫ জানুয়ারি রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ ধরার জন্য জাল পেতে ট্রলারে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে বাতাসের আঘাতে এ্যাংকরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে গেলে তারা নিখোঁজ হন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দুইজন নিখোঁজ হয়। পরে কোস্ট গার্ড সদস্যরা ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। বিষয়টি কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে তাকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দায় নৌকাডুবিতে জেলের মৃত্যু
মোহনায় দুটি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১ জেলে নিখোঁজ
১ বছর আগে
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে আরও ২১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা সাদেক বলেন, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস এবং কোস্ট গার্ডের ডুবুরিরা উদ্ধারকারী জাহাজ 'প্রত্যয়'-এর সাহায্যে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং সেখান থেকে দুপুরে আরও ২১ টি লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়ে পোশাক কর্মী নিখোঁজ
তবে এখনও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে নিখোঁজ হওয়া ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানিয়েছেন।
নিখোঁজদের মধ্যে পাঁচজন হলেন- অনিক সাহা, বিকাশ সাহা, প্রতিমা, সালমা বেগম ও সোলেমান।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ এমএল রাবিত আল হাসানকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পরপরই লঞ্চটি ডুবে যায়। প্রায় ২০ জনের মতো যাত্রী সাঁতরে পারে আসতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পশুর নদীতে ট্যুরিস্ট লঞ্চডুবি
পুলিশ জানায়, লঞ্চটিকে আঘাত করার পরেও থামেনি বলে তেলবাহী ট্যাঙ্কারটি জব্দ করা যায়নি।
স্থানীয় প্রশাসন ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং বিআইডাব্লইউটিএ ৪ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯
সদর উপজেলা ইউএনও নাহিদ বারিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লাশ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ভারতীয় শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার
বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ভারতীয় এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৪ বছর আগে
আম্পানের তাণ্ডব শেষে ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আঘাত হানার পর দেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বৃহস্পতিবার ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৪ বছর আগে