দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কুল কলেজ ফের খুলে দেয়া হচ্ছে। তাই শিক্ষক-কর্মচারী, কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী যাদের হল খুলে দেয়া হবে তাদেরও ভ্যাকসিন দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।’
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদেরও ভ্যাকসিন দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সেক্ষেত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে তালিকা দিলে সে অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত বিদেশি যারা রয়েছে ওই মন্ত্রণালয় তালিকা দিলে তাদেরও ভ্যাকসিন দিতে হবে। একই সাথে পাঁচতারকা হোটেলে কর্মরতদের ভ্যাকসিন দেবার ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া সকল পোর্টে কর্মরতদের ভ্যাকসিন দিচ্ছি। আগামী জুন-জুলাই পর্যন্ত কর্মসূচি নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, বিভিন্ন সংস্থা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলার দিতে চায়। সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থটা বিবেচনা করবে।
বেসরকারি পর্যায়ে ভ্যাকসিন আনা হলে সেটা কীভাবে প্রদান করা হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার যদি অনুমোদন দেয় সেক্ষেত্রে কিছু কোম্পানি ভ্যাকসিন আনতে পারে তবে সেটা ডব্লিউএইচও এবং আমাদের ওষুধ প্রশাসনের গাইড লাইন মেনে আনতে হবে।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে বলে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন মঙ্গলবার সাতজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় অধিদপ্তর।
নতুন পাঁচজনসহ মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৪২৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১৪ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আগেরদিন ২৪ ঘণ্টায় ৫১৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্তের কথা জানানো হয়। নতুন ৬১৪ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩০ জনে পৌঁছেছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৭টি পরীক্ষাগারে ১৬ হাজার ৪৫৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১৬ হাজার ৪১৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩.৭৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমকি ১৮ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে ৭ এপ্রিল