স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে আহত সকল রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা সেবা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৪ জন ও ঢাকা মেডিকেলে একজন রোগীর নিবিড় চিকিৎসা পরিচর্যাসহ চট্টগ্রামের আলাদা একটি বার্ন ইনস্টিটিউটেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।’
সোমবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের সার্বিক চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউট ছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকায় অন্যান্য জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্সদের ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করা হয়েছে। এছাড়া আহত রোগীদের চিকিৎসা সেবা সরাসরি পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকা থেকে বিশেষ চিকিৎসক টিম চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছি এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিষয়টি দেখাশোনা করছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সঠিক চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সরকারি হাসপাতালগুলো সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে আসা আহত ১৫ জনের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা বর্তমানে কিছুটা ভালোর দিকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো.সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্ম্দ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকা সরকারের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, আমেরিকা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। বিভিন্ন কার্যক্রমেই তারা আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। তাই ভবিষ্যতে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরালো করা হবে।
সোমবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ফাইজার ভ্যাক্সিন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত আমরা প্রায় ২২ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি মানুষকে। এর মধ্যে ছয় কোটি ১০ লাখ ডোজ ফাইজার এবং মডার্না টিকা আমেরিকা সরকার এবং দেশটির জনগণ এদেশের মানুষকে উপহার হিসেবে দিয়েছে। এই টিকাগুলো আমরা জনগণকে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার পেছনে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, আমেরিকা জানিয়েছে যে ভবিষ্যতেও যদি আমাদের টিকার প্রয়োজন হয়, তারা আমাদের প্রয়োজনে আরও টিকা দিবে।
তিনি বলেন, আমেরিকা আমাদেরকে টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহে ১৮টি ফ্রিজার ভ্যান দিয়েছে। এমনকি আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণেও সহযোগিতা করেছে। এছাড়াও প্রায় ৯০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলারের বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আগামীতেও তারা আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথম দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলে গত ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট তিন কোটি ২৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেয়া হবে।
এ সময় টিকা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশের টিকা কার্যক্রমের বেশ প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, শিশুসহ বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যায়ে করোনার টিকা দেয়ায় বাংলাদেশ ভালো করেছে, যা সহজ ছিল না।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ফজুলল কবীর প্রমুখ।
২ বছর আগে
পাঁচ বছর বয়সীদের করোনার টিকা শিগগিরই
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পাঁচ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সী প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের টিকা কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছি।সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা সংক্রান্ত এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। তাদের অনুমোদন পাওয়া মাত্রই আমরা কার্যক্রম শুরু করে দিব। আমরা ১২ বছরের উর্ধ্বে যারা আছে, সেসব শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েছি। এবার আমরা ১২ বছরের নিচে এবং পাঁচ বছরের উর্ধ্বে শিক্ষার্থীদের টিকা দিব। এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তারা জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের তালিকা হচ্ছে। আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রাখছি।
এসময় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের টিকাদানের সম্ভাব্য সময় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এটা নির্ভর করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত। সেটি নিয়ে এখনি আমরা কিছু বলতে পারছি না।এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বনিম্ন পাঁচ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে বয়স ভিত্তিক ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এবং টিকা কেন্দ্রের তথ্য প্রেরণে বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।গণটিকায় প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ ২৮ মার্চকরোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতেই দেশব্যাপী 'একদিনে এক কোটি কোভিড-১৯ টিকাদান' কার্যক্রমে প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হচ্ছে আগামী ২৮ মার্চ থেকে। তিনদিন ব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।তিনি বলেন, আগামী ২৮ মার্চ থেকে প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তারা যে কোন কেন্দ্রে এসেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারবেন। এই কার্যক্রমে দুই কোটি ২৫ লাখ টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ থেকে ধরে ৯ দিনে তিন কোটির বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত ২২ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা টিকা ক্রয় এবং দেয়ার পেছনে খরচ হয়েছে। কিছু টিকা আমাদের বাড়তি আছে। এসব টিকা বিভিন্ন দেশকে উপহার হিসেবে দিয়ে দিব।
২ বছর আগে
করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরপরও স্বাভাবিক টিকা কর্মসূচি চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বিসিপিএস ভবনে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য একদিনে এক কোটি ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সবাইকে আহ্বান করবো টিকা নেয়ার। সবাইকেই টিকা দিবো। এরপর থেকে দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। তবে সাময়িকভাবে প্রথম ডোজে একটু দৃষ্টিপাত কম থাকলেও কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা বিশেষ এই টিকা কর্মসূচিতে এক কোটি ডোজ টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রয়োজনে দেড় কোটি ডোজ দিব। দশ কোটি ডোজ টিকা আমাদের হাতে রয়েছে। আমরা এর আগেও ৮০ লাখেরও বেশি টিকা দিয়েছি। আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ এই কর্মসূচির বিষয়ে অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বাস, ট্রাক, দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা অবশ্যই সফল হবো।
টিকায় রাশিয়া-তুরস্কের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমে রাশিয়া-তুরস্কের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রশংসা করে আমাদের জানিয়েছে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনে বাংলাদেশ ১০ম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। সেখানে জার্মানিতে ১৭ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে, রাশিয়ায় ১৬ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে, তুরস্ক ১৪ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে, থাইল্যান্ড ১২ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র তিন কোটি ডোজ দিয়েছে। সেদিক থেকে আমরা টিকায় অনেক এগিয়ে আছি।
তিনি বলেন, সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৮ লাখ টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে মোট সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের টার্গেট করা মানুষের শতকরা ৮৬ ভাগ প্রথম ডোজ, ৬৫ ভাগকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে ৩২ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। আমরা স্কুলের বাচ্চাদের দেড় কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমরা গত দুই বছর কাজ করছি এবং সফলতার সঙ্গে মহামারি মোকাবিলা করেছি। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন এবং প্রশংসা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিশ্ব নেতার আমাদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে৷
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, আমরা ওইদিন একদিনেই এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। ওয়ার্ড কমিটি, জেলা ও সিটি কমিটির সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, শ্রমিক কর্মচারীরা যখন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে টিকা নিবে, সেটি তার কর্মঘন্টার মধ্যেই যুক্ত হবে। এ নিয়ে আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. আহমদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হকসহ আরও অনেকে।
২ বছর আগে
মহাখালী বিসিপিএসএ থেকে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ঢাকার মহাখালী বিসিপিএসএ প্রতিষ্ঠানে রবিবার সকালে বুস্টার টিকার কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ শুভ্র সেন্টারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি, ঢেউটিন ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশের স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে বয়স্ক এবং ফ্রন্টলাইনার ব্যক্তিরা এই বুস্টার ডোজের টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন। পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজ টিকা গ্রহীতাদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।’
এসময় অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
আগস্টেই আরও এক কোটি ডোজ টিকা আসছে
এই মাসের মধ্যেই এক কোটি ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দেশের করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আমাদের টিকা কার্যক্রম চলছে। এটি চলমান থাকবে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৫৪ লাখ ডোজ টিকা আসবে, পরের মাসে আবার ৫০ লাখ ডোজ আসবে। সবমিলিয়ে এই মাসেই এক লাখ ডোজ টিকা আসবে।
আরও পড়ুন: চীন থেকে আসবে সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। কোটি কোটি লোক নিবন্ধন করেছে। সকলেরই টিকা প্রয়োজন। ২৬-২৭ কোটি টিকা লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি। পর্যায়ক্রমে সবাই টিকা পাবে, ধৈর্য্য ধরতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি চলছে। বড় বড় দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার ৪-৫ গুণ বেশি টিকা বানিয়ে মজুদ করেছে, আমরা সাধ্যমত কিনে আনার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ কমাতে সংক্রমণের উৎস বন্ধ করতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ না করলে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ না হলে অর্থনীতি খারাপ হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে মৃত্যু বাড়বে, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে। দারিদ্রতা বাড়বে। দেশে কর্মহীন হয়ে পড়বে মানুষ।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, সংক্রমণ কমে আসছে, মৃত্যু হার আরও কমাতে হবে। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রোগীর চাপ সামাল দিতে হোটেল খোঁজা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, সিনোফার্মের ৬ কোটি টিকার বিষয়ে সপ্তাহ খানেক আগে প্রধানমন্ত্রী থেকে অনুমোদন নিলাম। আশা করি টিকার সংকট হবে না। আমাদেরকে সবার আগে চিকিৎসক-নার্সসহ যারা ফ্রন্টলাইনার তাদেরকে টিকা দিতে হয়েছে। আমরা ছাত্রদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছি। গর্ভবতী মায়দের জন্যও টিকার ব্যবস্থা করেছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস যাতে আর না বাড়ে যে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা বেড়ে গেলে সামাল দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা ডিএনসিসিতে এক হাজার শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড হাসাপাতাল তৈরি করেছি। অতি সম্প্রতি সময়ে বঙ্গমাতা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিটি জিনিসেরই একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদেরও রয়েছে। এর বাইরে গিয়ে আর হাসাপাতালে শয্যা বাড়ানো সম্ভব হবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের সঠিক তৎপরতা না থাকায় ডেঙ্গু ভয়াবহ আকারে ছড়াচ্ছে। এজন্য করোনা মহামারির মধ্যে ডেঙ্গু চিকিৎসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য তাদের। এই মৌসুমে একসাথে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও করোনা আক্রান্ত রোগী মিলছে বলেও জানান চিকিৎসকরা। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস খোলায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এজন্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান তাদের। এসময়, জ্বর হলে আতংকিত না হয়ে চিকিৎসকের নির্দেশনা নিয়ে ডেঙ্গু ও করোনা পরীক্ষার করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান তাদের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ বিল্লাল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
৩ বছর আগে
‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও দেশে চলে এসেছে বলে জানা গেছে। করোনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের পাশাপাশি এখন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে।’
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা শিগগিরই কেটে যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এই মুহূর্তে খুব বেশি ভয়ের কারণ নেই। কারণ এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি দেশে ছড়িয়ে পড়েনি। আগাম সতর্কতা হিসেবে দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসেরপ্রতিষেধক ওষুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে এবং একই সাথে এই রোগের উপযুক্ত চিকিৎসায় করণীয় কি হবে সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যারা পঞ্চম বর্ষে অধ্যয়ন করছে, প্রথম অবস্থায় তাদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। কারণ, এই মেডিকেল শিক্ষার্থীরা কোভিড রোগীদের সাথে কাজ করছে এবং আগামীতেও করবে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে এদেরকে আগে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকেও ভ্যাকসিন দেয়া হবে,’ বলেন তিনি।
দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদন কাজ শুরু করা হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদনের নির্দেশনা দিয়েছেন। সব পক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। ওষুধ উৎপাদনের মতো করে শিগগরই দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন কাজ শুরু করা হবে। ওষুধের মতো দেশের চাহিদা মিটিয়ে এই ভ্যাকসিন আগামীতে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন আমদানিতে চীন, রাশিয়ার সাথে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। একই সাথে আমেরিকা, যুক্তরাজ্যের সাথেও আলোচনা এগিয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, দেশে ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে আগামীতে কোন সমস্যা থাকবে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়ার সভাপতিত্বে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক এবং স্বাচিপ’র মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীন হলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা মন্ত্রীর
স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীন হলে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সফলভাবে সামলে নিয়েছিলাম। মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। এখন দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে প্রথমম ঢেউয়ের পর যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হয়েছিল সেই ঘটনা আবার ঘটতে দিলে খুব দ্রুতই দেশে তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা শিগগিরই কেটে যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, মানুষ যুদ্ধ করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে কিন্তু মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য মানুষ খুব বেশি ভাবেনি এবং স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে তেমন কোন পরিকল্পনাও নেয়নি।
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ টিকা আসছে
তিনি বলেন, ‘এবারের করোনা মহামারিতে বিশ্ব বুঝতে পেরেছে যে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ কতটা জরুরি বিষয়। করোনা দেখিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া এ পৃথিবীতে মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারবে না। আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট অনেক কম। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ বিনিয়োগও বৃদ্ধি করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। ভারত থেকে এই ভাইরাস আমাদের দেশেও চলে আসতে পারে। এ কারণে আগামীতে স্বাস্থ্যখাতের সকল পর্যায়ের কর্মীদের সতর্কতার সাথে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমেরর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কমিউনিটি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
৩ বছর আগে
পৃথিবীর কোনও দেশই স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পৃথিবীর কোনও দেশই স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেইনি, অবহেলা করেছি। যার ফলাফল আমরা করোনায় পেয়েছি। করোনা মহামারিতে আমরা কতোটা অসহায়, সেটা দেখেছি। শুধু আমরাই নই, পৃথিবীর কোন দেশই স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেয়নি।’
বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউ তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ সম্পর্কে আমরা সচেতন না হলে সামনে আবারও করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে এলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। করোনার প্রথম ঢেউ বাংলাদেশ যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে সামলে নিলেও, স্বাস্থ্যখাতে অবহেলার ফল আমরা পেয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারিতে যখন করোনায় মৃত্যু ৩-৪ জনে নেমেছিল তখন মানুষ ভেবেছিল করোনা দেশ থেকে চলে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষ অনিহা দেখাচ্ছিল। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ২৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ভ্রমণ করেছে। অধিক হারে সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এসব কারণেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দিনে প্রায় শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা শিগগিরই কেটে যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা আমাদেরকে দেখিয়েছে স্বাস্থ্যসেবার যদি বিপর্যয় ঘটে তাহলে মানুষের কি অবস্থা হয়। দেশের সব উন্নয়ন থেমে যায়, দেশে শান্তি থাকে না, সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি হয়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুরুতে খুব ভালোভাবেই টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, কিন্তু মাঝপথে ভারত টিকা বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের থেমে যেতে হয়েছে। আপনারা জানেন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবুও বিকল্প হিসেবে আমরা রাশিয়ার টিকা অনুমোদন দিয়েছি যেন আমাদের সেই টিকা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে পারি।
‘এছাড়াও কেউ যদি দেশে টিকা বানাতে চায়, সে সুযোগ আমরা দিচ্ছি। আমরা বলেছি, যে কেউ টিকা বানালে আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আমাদের দেশে কয়েকটি ফ্যাক্টরি রয়েছে, যেখানে তারা টিকা তৈরি করতে পারে। আমরা চাই তারা টিকা বানিয়ে আমাদের দেশের মানুষকেও দিক এবং দেশের বাইরেও রপ্তানি করুক,’ বলেন তিনি।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১ লাখ টিকা আসছে
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেকমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ বুঝতে পারলে তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা মিলবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ বুঝতেই পারলেই করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউ আমরা যথেষ্ট দক্ষতার সাথে সামলে নিয়েছিলাম। ফেব্রুয়ারিতে যখন করোনার মৃত্যু ৩-৪ জনে নেমেছিল, তখন মানুষ ভেবেছিল করোনা দেশ থেকে চলে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষ অনিহা দেখাচ্ছিল। যার ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিকার এদেশের মানুষা।’
আরও পড়ুন : করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার সকালে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘কক্সবাজার, সিলেটসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ২৫-৩০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ভ্রমণ করেছে। অধিকহারে বিয়ের অনুষ্ঠান, পিকনিকসহ নানা রকম সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এসব কারণেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দিনে প্রায় শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সময়মতো সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হয়তো সামনেই কমে যাবে।’
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ সম্পর্কে সচেতন না হলে সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে এবং তৃতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। এ কারণে করোনার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে, দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
দেশে মাত্র দু’টি জেলা বাদে সকল জেলা থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ম্যালেরিয়া এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দেশে ২০০৮ সালের তুলনায় এখন ৯৩ শতাংশ ম্যালেরিয়া রোগী কমেছে এবং ৯৪ শতাংশ মৃত্যু কমেছে। দেশের মাত্র দু’টি জেলাতে এখন ম্যালেরিয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে।
সিডিসি’র পরিচালক ডা. নাজমূল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি, গ্লোবাল ফান্ডের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
৩ বছর আগে