‘আমি অবশ্যই টিকা নেব, তবে আমি চাই দেশের জনগণ প্রথমে এটি গ্রহণ করুক। যদি আমার একটা টিকার জন্য আরেকটা মানুষের জীবন বাঁচে সেটাই তো সবচেয়ে বড় কথা! তাই না?’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ: সব কৃতিত্ব জনগণকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া উপলক্ষে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এটির আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের কত পার্সেন্ট মানুষ আগে টিকা নিতে পারল, তিনি আগে তা দেখতে চান। ‘আমাদের একটা টার্গেট করা আছে। সে পরিমাণ যখন দেয়া হবে, তখন টিকা যদি বাঁচে, তখন আমারটা আমি নেব,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি অভিযান পরিচালনা করছে যাতে গ্রাম পর্যায়ের প্রত্যেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী ভ্যাকসিন নিতে পারে।
ভ্যাকসিন কার্যক্রম থেকে কেউ যেন বাদ না পড়ে সরকার সেই পদক্ষেপ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আরও তিন কোটি টিকা আনার ব্যবস্থা করছি। আমরা প্রথম ডোজের পরেই যাতে দ্বিতীয় ডোজ পেতে পারি সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, যদি কোনো দেশ ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয় তখন বাংলাদেশ সেটি করবে।
‘আমি ইতোমধ্যে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি, যারা এটি প্রস্তুত করতে সক্ষম, তারা যেন প্রস্তুত থাকে। আমরা ভ্যাকসিনের বীজ আনতে চাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার শিগগিরই শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার চেষ্টা করছে। এজন্য তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত শিক্ষক এবং অন্যান্যদেরও এই ভ্যাকসিন নিতে বলেছেন। ‘সকলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুসারে ভ্যাকসিন নিতে হবে। আমরা একাডেমিক কার্যক্রমের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাই,’ বলেন তিনি।
মহামারি চলাকালীন মানুষকে সুরক্ষিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার পেছনে ‘ম্যাজিক’ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা বলেন, এটা মোটেই ম্যাজিক নয়। ‘এটা দেশ ও এর জনগণের প্রতি আন্তরিকতা এবং দায়িত্ববোধ।’
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার পর স্বাস্থ্য নির্দেশিকা ভুলে যাবেন না: প্রধানমন্ত্রী