বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ‘ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে দেশের জন্য কোন বড় বাধা নেই।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের প্রস্তাবিত ২০২৪-২০৩৪ জিএসপি রেগুলেশনে অন্যতম শর্ত ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ইম্পোর্ট থ্রেশেল্ড থেকে শর্তটি বাদ দিয়েছে।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিজিএমইএ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিজিএমইএর সভাপতি ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের প্রধান বাজার, যেখানে আমাদের ৬০ শতাংশ রপ্তানি হয়।’
তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণের মাধ্যমে এই বাজারটিতে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় পরিবর্তন আসবে। বর্তমানে এই সুবিধা ২০২৯ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘২০২৯ সালের পরও যেন আরও অন্তত ১২ বছর এই সুবিধা (অর্থাৎ ইবিএ) বহাল রাখা হয় তার জন্য সরকার ও বিজিএমইএ একসাথে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য, বিজিএমইএ’র প্রতিবাদ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৯৭১ সাল থেকে জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বাণিজ্য অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।
বিশ্ব অর্থনীতির সাথে একীভূত হতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য জিএসপি হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন, যা দারিদ্র্য হ্রাস, এবং মানবতা ও শ্রম অধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা ও সুশাসন, টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজেট: বিজিএমইএ
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ‘আমরা এই সফরে প্রায় ৩০টিরও বেশি সভা করি। এর মধ্যে কিছু ছিল সম্মেলন এবং বেশ কিছু দ্বি-পাক্ষিক সভা ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সব স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করতে, আমাদের অগ্রগতি, প্রচেষ্টা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে।’