নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ইসির সভায় তার প্রস্তাব ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয় না। ‘আমি মনে করি আমাকে সংখ্যালঘিষ্ঠ হিসেবে না দেখে আমার বক্তব্যের বিষয়বস্তুর মেরিটকে বিবেচনায় নেয়া সমীচীন।’
‘আমার ধারণা কমিশন সভায় আমার বক্তব্য প্রদানের স্থান সংকুচিত হয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরেই কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করতে চাই এবং আমাদের কর্মকাণ্ডে তা দৃশ্যমান হওয়া বাঞ্ছনীয়,’ যোগ করেন তিনি।
মাহবুব বলেন যে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ইসির তিনটি সভা অনুষ্ঠিত হয়, তার কোনোটিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি, অনিয়ম বা প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয়নি। ‘কোনো কমিশন সভায় এসব বিষয় এজেন্ডাভুক্ত হয়নি।’
তিনি বলেন, আগামী ২৮ জানুয়ারি আরেকটি নির্বাচন কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তাতেও সিটি নির্বাচন সম্পর্কে কোনো বিষয় এজেন্ডাভুক্ত করা হয়নি।
কমিশনার বলেন, গত ৯, ১৩, ১৬ ও ২০ জানুয়ারি তিনি চারটি আনঅফিসিয়াল নোট দিয়েছেন, কিন্তু তার কোনোটিই বিবেচনায় আনা হয়নি। ‘এবিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। যদি আমার বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে আমাকে তা জানানো উচিত ছিল।’
তিনি গত ১৬ জানুয়ারি দেয়া আনঅফিসিয়াল নোটের মাধ্যমে কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই রিটার্নিং অফিসারকে প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে তথ্যাদি জানাতে বলেছিলেন। ‘কিন্তু আমার সেই নির্দেশ মানা হয়নি। কোনো তথ্যই আমাকে দেয়া হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব বলেন, তিনি কোনো দলের হয়ে কাজ করছেন না। তিনি তার বিবেক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। ‘যারা আমার অতীত ইতিহাস জানেন তারা কখনই বলবেন না আমি কোনো নির্দিষ্ট দলের।’