রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে শহর ছেড়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।
গত কয়েকদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট না থাকলেও দেখা গিয়েছিল বাড়ি ফেরা মানুষের বাড়তি চাপ। তবে আজ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো মানুষকে স্বস্তির সঙ্গে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জ অংশে কোথাও যানজট কিংবা যানবাহনের ধীরগতির খবর পাওয়া যায়নি। একেবারেই অনেকটা ফাঁকা ও স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন চলাচল করছে এ মহাসড়কে।
দুপুরে হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি নাবিলা জাফরিন রীনা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রায় তিন শতাধিক সদস্য মহাসড়কে তিন ফাইলে ২৪ ঘণ্টা যানবাহন ও মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কোনো যানজট নেই। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেক কম।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (টিআই) একেএম শরফুদ্দিন বলেন, এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ খুব স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরছে। খুব কম সময়ের মধ্যে ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান জানান, ঈদে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে মেঘনা সেতুতে আরও ছয়টি নতুন ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) বুথ চালু করা হয়েছে। এ সেতুতে সবগুলো টোল কালেকশন (ইটিসি) আওতায় রয়েছে। এর ফলে এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও যানজটমুক্ত হবে।