শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের আরেকটি সোনালি অধ্যায় লিখল বাংলাদেশ।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর মাওয়া প্রান্তে ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করায় উচ্ছ্বসিত জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়েছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে লাখ লাখ মানুষ জমকালো এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখতে টিভি স্ক্রিনের সামনে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে বসে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক: রাষ্ট্রপতি
প্রথম নাগরিক হিসেবে টোল পরিশোধ করে সেতুটি অতিক্রম করেন প্রধানমন্ত্রী।
ঐতিহাসিক এই মুহূর্ত উপলক্ষে এবং নিজস্ব অর্থায়নে দেশের বৃহত্তম মেগা প্রকল্পের জমকালো উদ্বোধনের অংশ হিসেবে তিনি স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, ওপেনিং ডে কভার, সীলমোহর ও ১০০ টাকার একটি নোট উন্মোচন করেন।
সেতুটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক সাহসী বার্তা দিয়েছে যে এই উদীয়মান শক্তিকে আর উপেক্ষা করতে পারবে না বিশ্ব।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
সরকারি হিসাব মতে, সেতুটি রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চললের ২১ জেলাকে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। এটি জিডিপি প্রবৃদ্ধি এক দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করবে এবং বার্ষিক শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য দূর করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।