বুধবার দুপুরে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাপ্তান বাজারের আধুনিক জবাইখানার চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ তাপস বলেন, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে অনেক জঞ্জাল আমরা পেয়েছি, অনেক সমস্যা জর্জরিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা। পর্যায়ক্রমে সবগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, কোনোটাই আমরা ছাড় দিচ্ছি না। আপনারা কিছুদিন পরে জানতে পারবেন, এরই মাঝে আমরা একটি মার্কেটে যে অবৈধ দোকানগুলো করা হয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, উচ্ছেদ আরম্ভ হবে। আমাদের যতগুলো নিজস্ব মার্কেটে আছে এবং সে মার্কেটেগুলোতে যত অবৈধ দোকান আছে, আমরা পর্যায়ক্রমে সবগুলো উচ্ছেদ করব।’
আদি বুড়িগঙ্গা থেকে শুরু করে আশপাশে যে বুড়িগঙ্গা নদী রয়েছে, সিটি করপোরেশন বর্জ্য ফেলে সবগুলো নদী ভরাট করছে বলে সবার কাছে মনে হয়েছে। তাহলে নদীগুলো ব্যবস্থাপনায় আপনারা কি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন আসলে বর্জ্য ফেলে না, বর্জ্য অপসারণ করে। (সিটি করপোরেশন বর্জ্য ফেলে নদী ভরাট করছে, সেই বক্তব্যটি ভুল) এটি ভুল তথ্য। তবে প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী আমরা আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার করব। সেজন্য ইতোমধ্যে এমআইএসটিকে (মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি) পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তারা একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, আমরা তার ওপর কাজ করছি। আমরা আদি বুড়িগঙ্গাকে সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করে সেখানে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। তাহলে আমরা বর্জ্য থেকেও মুক্ত হব এবং ঢাকাবাসী একটি সুন্দর নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।
এ সময় কাপ্তানবাজার আধুনিক জবাইখানার কাজে ধীর গতিতে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই কাজটি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আমি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি যাতে দ্রুত গতিতে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এর মাধ্যমে আমরা আধুনিক জবাইখানাটির কার্যক্রম আরম্ভ করতে পারব।’
পরে ব্যারিস্টার শেখ তাপস ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলপাড় ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দুপুর খাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।