বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশবিহীন শুধু বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
জামুকার ৭১তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে যাচাইযোগ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওইদিন সকাল ১০টায় নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে/ মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাক্ষ্য এবং তথ্য-উপাত্তসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৪১২ জনের নাম মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায়
বিস্তারিত তথ্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.molwa.gov.bd) এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে (www.jamuka.gov.bd) পাওয়া যাবে।
এ ধরনের গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কমপক্ষে তিনজন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধা/সহপ্রশিক্ষণ গ্রহীতা সাক্ষী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকলে তিনি কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তা তিনজন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর সহমুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এ যাচাই বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমির নামজারি হবে ১০ দিনে
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের নতুন আদেশ জারি
মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে লিখতে হবে ‘বীর’, গেজেট প্রকাশ
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭১তম সভায় এ যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রথমে ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ এর ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার অনুমোদন ব্যতীত যেসব বেসামরিক গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে সেসব বেসামরিক গেজেট গত ১৯ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করার কথা ছিল। পরে তা পরিবর্তন করে ৯ জানুয়ারি করা হয়। সর্বশেষ আবারও তা পিছিয়ে ৩০ জানুয়ারি করা হলো।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার করার প্রস্তাব
উল্লেখ্য, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ণ’ পূর্বক সরকারের কাছে সুপারিশ করার এখতিয়ার এ কাউন্সিলের উপর ন্যস্ত রয়েছে।