করোনার কারণে সাত মাস বিলম্বের পর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
এ বছর প্রায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর আগের বছর অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন।
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯০১ জন বৃদ্ধি পেয়ছে এবং বৃদ্ধির হার দুই দশমিক ৪৮ শতাংশ।
৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় এক লাখ ১৩ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এছাড়া ৪০৬ জন শিক্ষার্থী বিদেশ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। দেশব্যাপী পরীক্ষা গ্রহণের জন্য দুই হাজার ৬২১টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
করোনার কারণে এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সময়সূচি অনুযায়ী নেয়া সম্ভব হয়নি এবং পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার
পরীক্ষাকে সামনে রেখে ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
করোনার কারণে গেল বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয় এবং এ বন্ধ বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতির উন্নতিতে ১৩ সেপ্টেম্বর সরকার স্কুল ও কলেজ খুলে।
গত বছর শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তাদের এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয় যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
কোনো বাধা ছাড়া যেন এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
পড়ুন: ঢাবি কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
এইচএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান দীপু মনির