বুধবার দুপুর ১টায় করোনাকালীন শিক্ষার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসির বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সব কিছু আমরা ঠিক করেছি। আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে পরীপূর্ণ পরীকল্পনা তারিখসহ ঘোষণা করতে পারব। কতটুকু পরীক্ষা নেব, কি পদ্ধতিতে নেব সেটি সেদিন জানাতে পারব।’
‘তবে পরীক্ষার্থীদের আমরা অন্তত চার সপ্তাহ সময় দেব। চেষ্টা করব দ্রুততম সময়ের মধ্যে কত নম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে এটি সম্পন্ন করতে পারি। আর জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলও আমরা মূল্যায়নে নিয়ে আসতে পারি,’ বলেন তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং সবাই যেন দুশ্চিন্তা ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারে, সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। আর যারা পরীক্ষা দিতে পারবেন না তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে, সেটি সোম অথবা মঙ্গলবার জানাবো।’
এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। কারণ পরীক্ষার আগ মূহূর্তে বন্ধ হয়েছে। আমাদের প্রশ্নও তৈরি আছে। কিন্তু ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর সাথে একজন করে অভিভাবক কেন্দ্রে গেলেও শিক্ষকসহ ২৫ থেকে ৩০ লাখ লোকের সম্পৃক্ততা থাকে। যারা অধিকাংশই গণপরিবহন ব্যবহার করবে। সেজন্য আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।’
এইচএসসির ক্ষেত্রে সিলেবাস কমছে না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ হয়েছিল। কারণ পরীক্ষার ঠিক আগ মূহূর্তে সেটি স্থগিত হয়েছে। তাই এইচএসসির ক্ষেত্রে সিলেবাস কমছে না। ’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েব আসতে পারে, সেটিও আমরা মাথায় রেখেছি। তবে কেউ কেউ নাকি পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যয়ন চাইছেন। সেক্ষেত্রে আমরা সেটি নাকচ করছি না, কারণ সব চেষ্টার পরও পরীক্ষা নেয়া গেল না তাহলে কি আমাদের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে না? সেক্ষেত্রে পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়নের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে, আমাদের সেটিও ভাবতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান সংযুক্ত ছিলেন।