জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার ৪৮টি জেলার ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকার একটিসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়নের সড়ক এবং তিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে ৮ হাজার ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও তিনটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: একনেকে ১১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়সহ ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আজ মোট ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয় ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা (এখানে আটটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় গণনা করা হয়েছে)।’
মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বাকি ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে।
ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে বড় নতুন প্রকল্প হচ্ছে ৬ হাজার ৩৪৫ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ইমপ্রুভমেন্ট আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট (আইইউজিআইপি), যা ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
পরিকল্পিত, সমন্বিত ও টেকসই নগরায়ন ও সুশাসনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আট বিভাগের ৪৮টি জেলার ৮৭টি উপজেলার ৮৮টি পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: একনেকে ১২ প্রকল্পের অনুমোদন
দুই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়নের সড়ক এবং তিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামোর জন্য পরিকল্পিত তিনটি নতুন প্রকল্প হলো- চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ, যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১১০ কোটি টাকা (২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে); ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ (২০২৮ সালের মার্চের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে) এবং নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা (যা ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে)।
এছাড়া শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ (নিট) নেই এমন তরুণদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে 'ইকোনমিক এক্সেলারেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফর নিট (আর্ন)' শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বিকল্প শিক্ষা ও সংশ্লিষ্ট দক্ষতার সুযোগ বৃদ্ধি এবং তাদের উপার্জন নিশ্চিত করা। এছাড়া আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, তাদের কাজে যোগদানের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রকল্প পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধি করা।