তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সাহারা খাতুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন এবং দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে আইনিসহ সকল সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করেছেন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ জননেতাকে হারাল। আমি হারালাম এক পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাহারা খাতুন বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের এক হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, তিনি ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।
সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সাহারা খাতুনকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
জ্বর ও বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যার কারণে ২ জুন সাহারা খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি ছিলেন ঢাকা-১৮ আসন থেকে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য।