কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করে শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র সহকারী হাইকমিশনার প্রটেকশন মিস গিলিয়ান ট্রিগস এবং সহকারী হাইকমিশনার অপারেশন মি রউফ মাজাও।
সরকারি ক্যাম্প ইনচার্জ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে ইউএনএইচসিআর’র প্রতিনিধি দল এই মনোভাব প্রকাশ করেন। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত, অতিরিক্ত আরআরআরসি মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা, ক্যাম্প ইনচার্জ, ক্যাম্পের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
মঙ্গলবার (০১ জুন) সকালে ইউএনএইচসিআর’র এই দুই সহকারী হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাস কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা জানান, প্রথমে তারা সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কুতুপালং ৯ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ব্র্যাক, অক্সফামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
তিনি জানান, সহকারী হাইকমিশনাররা এসব প্রকল্পে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন এবং রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন কর্মসূচির খোঁজ খবর নেন। দুপুরে তারা কুতুপালং ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরে কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজারের পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোর ক্যাম্প ইনচার্জ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয় দেখে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে যাবেন জাতিসংঘের সফররত ২ শীর্ষ কর্মকর্তা
এর আগে সোমবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ইউএনএইচসিআর’র সহকারী কমিশনাররা ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল সহ ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে যান। সেখান থেকে বিকালে হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার আসেন এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। কক্সবাজার সফর শেষে ইউএনএইচসিআর’র সহকারী হাইকমিশনাররা আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়নি।