জলবায়ু প্রশ্নে বাংলাদেশকে একটি ‘আস্থাভাজন ও গুরুত্বপূর্ণ’ কণ্ঠস্বর উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, আমাদের হাতে এখন ‘বিশাল’ কাজ, কপ-২৭ সম্মেলনের আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যাতে জলবায়ু বিপর্যয় রোধে বিভিন্ন দেশের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলোকে ‘কাজে পরিণত’ করা যায়।

তিনি বলেন, ‘আমরা কপ-২৬-এ অংশগ্রহণকারী জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে সত্যিকারে আশা জন্মাতে পেরেছি। এখন মাত্র আট মাসের মধ্যে মিশরে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৭-এর আগে যে সমস্ত অগ্রাধিকারমূলক জলবায়ু পদক্ষেপ নেয়া দরকার তার ওপর ফোকাস করতে হবে।’

চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মিশরের শার্ম এল-শেখে ইউএনএফসিসিসি-এর কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ-২৭) এর ২৭তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত ‘বিল্ডিং অন দ্যা আউটকামস অব কপ-২৬: প্রায়োরিটি ক্লাইমেট অ্যাকশনস এহেড অব কপ-২৭’ শীর্ষক ওয়েবিনারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্ব: বিশেষজ্ঞদের অগ্রাধিকারমূলক জলবায়ু পদক্ষেপ বিষয়ক আলোচনা শুক্রবার

ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) পরিচালক নাহার খানের পরিচালনায় ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন উইং) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিএডি) পরিচালক অধ্যাপক ড. সালিমুল হক, এর উপ-পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজান আর খান এবং পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং গবেষণা ব্যবস্থার স্বাধীন পরামর্শক ড. হাসিব মো. ইরফানউল্লাহ যোগ দেন।

ব্রিটিশ হাইকমশিনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬-এ অরক্ষিত দেশগুলোর পক্ষ থেকে জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে এবং বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ডিকসন বলেন, ‘আমরা স্পষ্টতই আশা করি যে, এ বিষয়ে বোঝাপড়া ও আলোচনায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কারণ আমি মনে করি বাংলাদেশ এক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত আস্থাভাজন ও গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার

ইউএনবি’র পরিচালক নাহার খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইতোমধ্যেই বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। যদি তারা (অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশ) গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে ও অবিলম্বে অভিযোজন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে আরও অনেক মারাত্মক পরিণতি দেখতে হবে।

তিনি বলেন, মহামারির কারণে কিছুদিন বিলম্ব করে গত নভেম্বরে কপ-২৬ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তবুও এতে বেশ কিছু অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল।

নাহার খান বলেন, কপ-২৬ আমাদের আগের চেয়ে অনেক বেশি কিছু দিয়েছে। এটির প্রতিটি বৈঠকের আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জনের সুযোগ ও দায়িত্ব দিয়েছে।

এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস ফাউন্ডেশনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি হলে বাংলাদেশের ১১ শতাংশ স্থলভাগ ডুবে যাবে। এর ফলে দেশের নিম্নাঞ্চলের উপকূলে বসবাসকারী আনুমানিক ১৫ মিলিয়ন মানুষের জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

মিজানুল চৌধুরী বলেন, উন্নত দেশগুলোর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, দেশগুলোর মধ্যে আরও ফলপ্রসূ জলবায়ু আলোচনার বিষয়ে ‘বিশ্বাস তৈরি’ করবে।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো এবং সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে অবশ্যই বিদ্যমান ব্যবধান কমাতে কপ-২৭-এর আগে অধিক প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। যাতে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ করা যায়।

চৌধুরী ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে স্বচ্ছ ও সবুজ করতে উন্নত দেশগুলো থেকে উন্নত প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সালিমুল হক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র তুলে ধরেন-কপ-২৬ এর ফলাফল এবং কীভাবে তারা এটিকে বাস্তবায়ন করবে; জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকৃত প্রভাব-যা এখন বিশ্বজুড়ে বাস্তবতা; জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ভিত্তির ওপর আরও সহযোগিতা গড়ে তোলার সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে।

ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গ্লাসগোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সেখানে দুটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সান্তিয়াগো নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত একটি সেটআপ তৈরি করা এবং যত শিগগিরি সম্ভব এটি বাস্তবায়ন করা।

আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে দেশ: টিআরএনবি ওয়েবিনারে বক্তারা

তিনি আরও বলেন, ‘এটি গ্লাসগো আলোচনার একটি ইতিবাচক ফলাফল ও খুব ভালো অগ্রগতি। আমাদের এটাকে এগিয়ে নিতে হবে।’

অধ্যাপক হক বলেছেন, দ্বিতীয়টি হল গ্লাসগোতে ক্ষয়ক্ষতির জন্য অর্থের বিষয়ে সংলাপ।

তিনি বলেন, ‘আমাকে অবশ্যই বলতে হবে, এটি একটি হতাশার বিষয়। কারণ গ্লাসগোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সিভিএফ দেশগুলো আসলে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য অর্থনৈতিক সাহায্য চেয়েছিল।’

প্রফেসর হক আশা করেছিলেন যে সংলাপে মৌখিক প্রতিশ্রুতির চেয়ে, আরও কার্যকর কিছু অর্জিত হবে।

তিনি বলেন, কার্যকর কোনো পদক্ষেপ ছাড়া আমাদের শুধু শুধু এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত না।

অভিযোজনের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোজনের জন্য সমর্থনকে দ্বিগুণ করা দরকার এবং অভিযোজন বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে আরও  দ্রুত পদক্ষেপ দরকার।

অধ্যাপক হক একাডেমিয়া, সহযোগিতামূলক গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের প্রচুর জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে। যা বৈশ্বিক লাভের জন্য এক করা যেতে পারে।’

আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার শনিবার

প্রফেসর হক বিশেষ করে হাইকমিশনার এবং এফসিডিওতে তার সহকর্মীদের কাছে প্রস্তাব করেন যে তারা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্রের হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক গবেষণায় আরও অনেক বেশি কৌশলগত পঞ্চ-বার্ষিকী কর্মসূচির পরিকল্পনা করার চেষ্টা করবেন।

তিনি বলেন, আমরা দুটি দেশ হিসাবে এসব করব, তবে আমরা বৈশ্বিক ইতিবাচকতার উদ্দেশ্য নিয়েই এগুলো করব।

অধ্যাপক মিজান খান বলেন, তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই বৈশ্বিক জলবায়ু বিজ্ঞান এবং জলবায়ু নীতির মধ্যে একটি সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন।

তিনি বলেন, তাদের দায়িত্ব হওয়া উচিত জলবায়ু বিপর্যয়ের ভয়াবহতাকে দৃশ্যমান করা। যাতে নাগরিকরা এই প্রেক্ষাপটের গুরুত্ব বুঝতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং তারা এটাকে আর অস্বীকার করতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমষ্টিগতভাবে ভাবতে হবে, জলবায়ু বিনিয়োগের ওপর সামাজিক ছাড়ের হার আরোপ করতে হবে। এটা খুবই জরুরি যেটা আমি মনে করি, অন্যথায় আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।’

তিনি বলেন, সমস্যা হল উন্নত দেশগুলো এখনও জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক রাজনীতিকে বিশেষ ব্যক্তি বা জাতীয় স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে। মূলত এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। যেখানে যৌথ পদক্ষেপ এবং যৌথ সমাধান প্রয়োজন।

ড. হাসিব ইরফানুল্লাহ বলেন, কপ-২৭ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তিনটি পরস্পর সম্পর্কিত ক্ষেত্রে উপকার পাবে।

তিনি বলেন, কপ-২৬-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাধারণ নেতৃত্ব দেখিয়েছেন এবং ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’র মাধ্যমে বিশ্বের সামনে একটি নতুন উন্নয়ন দর্শন উপস্থাপন করেছেন।

যেহেতু দেশটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট প্রস্তুত করছে, ড. হাসিব তাই বাংলাদেশ সরকারকে একটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা এই জাতীয় অর্থায়ন ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি, তা হবে কপ-২৬ এর গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশের নেতৃত্বের জন্য একটি দুর্দান্ত মাইলফলক।’

ড. হাসিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানকে একটি কার্যকর উপায় হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্র্নিমাণ পরিকল্পনায় প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।

ড. হাসিব বলেন, ‘বিশ্বের অভিযোজন রাজধানী’ বা ‘অভিযোজন নেতা’ বা ‘অভিযোজন শিক্ষক’ হিসেবে তাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু পরিকল্পনার অর্থায়নে তৎপর হতে হবে। ‘কপ-২৭ এর আগে মরিয়া হয়ে কাজ শুরু করতে কীসে আমাদের বাধা দিচ্ছে?’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনার প্রভাব নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার

ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন বলেন, গত বছরের নভেম্বরে গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বের দেশগুলো একত্র হওয়ার ফলে তারা যা অর্জন করেছিল, তা মনে রাখার মতো।

হাইকমিশনার বলেন, ‘স্পষ্টতই এটি নিখুঁত ছিল না। জলবায়ু যেহেতু আমাদের সকলের জন্য অস্তিত্বের জন্য একটি সমস্যা, তাই আমরা আরও অনেক কিছু করতে পারি।’

ডিকসন অত্যন্ত উৎসাহিত যে বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘বন ও ভূমি ব্যবহারে গ্লাসগো লিডারস ডিক্লারেশন’ বাস্তবায়নের জন্য একটি কৌশল তৈরি করছে। যার মাধ্যমে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধ এবং নতুন করে বনায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়।

তিনি বলেন, স্পষ্টতই এটি অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জন্যও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবং আমি এটা শুনে আনন্দিত যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই একটি সংশোধিত জাতীয় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। কারণ কপ-২৬ সম্মেলনে আমরা যা অর্জন করেছি তা রক্ষা করা এবং শক্তিশালী করা আমাদের সবার ওপর নির্ভর করছে।

ডিকসন বলেন, তারা বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। তারা আশা করছে এই পরিকল্পনাটি সুদূরপ্রসারী ও রূপান্তরমূলক অভিযোজন ব্যবস্থা নির্ধারণ করবে।

এর আগে কপ-২৬ এর সভাপতি অলোক শর্মা বাংলাদেশে জলবায়ু কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য ১২০ মিলিয়ন পাউন্ডের ঘোষণা করেছিলেন। ২০২১ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য ১২০ মিলিয়ন পাউন্ডের নতুন প্রোগ্রাম স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন, নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার, দূষণ ও বর্জ্য মোকাবিলা এবং পরবর্তী প্রজন্মের জলবায়ু নেতাদের বিকাশ ও ক্ষমতায়ন করবে।

যুক্তরাজ্যের সভাপতিত্বে গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ২৬তম জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (কপ-২৬)অনুষ্ঠিত হয়।

কপ-২৬ শীর্ষ সম্মেলনের ফলে প্যারিস চুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের লক্ষ্যগুলোর প্রতি পদক্ষেপ নিতে সবদল একত্র হয়েছে।

কপ-২৬ এর সভাপতি হিসেবে যুক্তরাজ্য বলেছে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ করতে হবে। কারণ তারা গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তিটি নিশ্চিত করার জন্য আগামী মাসগুলোতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবে এবং পরিকল্পনাগুলোকে কাজে পরিণত করবে।

চারটি লক্ষ্য সামনে রেখে যুক্তরাজ্য সভাপতিত্ব করবে। সেগুলো হলো- কার্বন নির্গমন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা; জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অভিযোজন ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রতিশ্রুত তহবিল নিশ্চিত করা; অর্থ সরবরাহ করা এবং একসঙ্গে কাজ করা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সভাপতিত্বের সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখা।