প্রতিশ্রুতি
দেশে জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, তারা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে জনগণই হবে প্রকৃত ক্ষমতার উৎস। পাশাপাশি সারা বিশ্বে মানবতা ও সহানুভূতিশীলতার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত হবে জাতি।
নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তুলে সরকার সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রচেষ্টা চালাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ আয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব। এসব নীতিই হবে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের শ্রদ্ধা
বৈশ্বিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেন প্রদান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের তরুণ সমাজ যেন মেধার ভিত্তিতে জাতি গঠনে অবদান রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করে ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী সদস্যরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
এটি যুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়, যার ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
শহীদদের প্রতি সম্মান জানান ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘আজ আমি স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গ করা সব সাহসী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীরদের স্বজনদের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
সম্প্রতি ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যত্থান প্রসঙ্গে ইউনুস বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রচেষ্টায় ‘নতুন বাংলাদেশ’ অর্জিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে একটি বৃহত্তর পরিবারে ঐক্যবদ্ধ করা। মতামতের পার্থক্য স্বাভাবিক, কিন্তু এই পার্থক্যের কারণে আমাদের কখনই একে অপরকে শত্রু ভাবা উচিত নয়, তা আদর্শিক হোক বা ধর্মীয় হোক।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সব নাগরিক সমান হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের বৈষম্য ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন ইউনূস। তিনি বলেন, 'জাতীয় জীবনে কেউ কারো উপরে বা নিচে নয়।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারসহ বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় আকস্মিক নেতিবাচক কিছু নেই: অধ্যাপক ইউনূস
৯ ঘণ্টা আগে
এসডিএফের শহীদ পরিবার ও আহত সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অর্থ উপদেষ্টার
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত এবং সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) উপকারভোগীদের স্বাবলম্বী করতে আর্থিক সহায়তা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় এসডিএফ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত এসডিএফের নিহতদের পরিবার ও আহত সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ও অনুদান দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, এসডিএফ সদস্য পরিবারগুলোর আত্মত্যাগ ও অংশগ্রহণ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে ছাত্র ও গণঅভ্যুত্থানের সংহতিকে তুলে ধরে। এই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভে এসডিএফের বিশ্বব্যাংক সমর্থিত রেজিলিয়েন্স, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট (আরইএলআই) প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী পরিবারের মোট ৭ জন শহীদ হন এবং ১৬ জন গুরুতর আহত হওয়া ছাড়াও ৩৩ জন আহত হন।
উপদেষ্টা সাত শহীদের পরিবারকে দুই লাখ করে টাকা, গুরুতর আহত ১৬ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে এবং আহত ৩৩ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন।
এই আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবিকা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত।
এসডিএফ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এসডিএফ পরিচালনা পর্ষদ ও গভর্নিং বডির সদস্য, সাংবাদিক এবং শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত, অলাভজনক সংস্থা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) ২০০১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এর লক্ষ্য জীবনযাত্রার উন্নতি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রাখার দিকে মনোনিবেশ করা।
আরও পড়ুন: ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ রুখতে প্রতিশ্রুতি অমিত শাহের
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
রবিবার বাংলার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন ও মৈত্রী দ্বার উদ্বোধনের সময় তিনি একথা বলেন।
অমিত শাহ বলেন, ‘অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই শান্তি আসবে। নেপাল, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অংশীদারত্ব বাড়ানো হবে। অগ্রগতির দিক থেকে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে।’
আরও পড়ুন: কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সাবেক স্পিকারের যুগ্ম সচিব আটক
অমিত শাহ বলেন, “বাংলার সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর মোদি। বাংলা হয়ে উঠবে ‘সোনার বাংলা’ এবং এখানকার উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখবে না বিজেপি।”
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের পরিমাণ বাড়াবে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন (পিটিবি)।
আন্তর্জাতিক পরিবহন কেন্দ্রগুলোর মতো নকশায় নির্মিত পেট্রাপোলের যাত্রী টার্মিনাল ভবনে সব আধুনিক সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভিআইপি লাউঞ্জ, ডিউটি ফ্রি শপ এবং মৌলিক চিকিৎসা সুবিধা।
বেনাপোল (বাংলাদেশ)-পেট্রাপোল (ভারত) বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থল সীমান্ত ক্রসিং।
মৈত্রী দ্বার জিরো লাইনে একটি যৌথ কার্গো গেট যা উভয় দেশের সম্মতিতে নির্মিত হয়েছে। এর মাধ্যমে সীমান্তে পণ্য খালাস এবং ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে। এতে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থলভিত্তিক বাণিজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ (মূল্য অনুসারে) এই স্থলবন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়।
পেট্রাপোল স্থলবন্দর ভারতের অষ্টম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বার্ষিক ২৩ লাখ ৫ হাজারেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক ৪
৩ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক প্রবেশের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তার সরকার সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রথম ধাপে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়ে অবিলম্বে মনোযোগ দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমাদের শ্রমিক দরকার, তাদের আধুনিক দাস হিসেবে গণ্য করা যাবে না কিন্তু তারা বাংলাদেশ বা অন্য দেশের যেখানেই আসুক না কেন। আমি এখানকার মতো আগেও প্রকাশ্যে এ কথা বলেছি।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বাংলাদেশকে সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি বা বিদেশি- কারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শ্রমিক ইস্যুতে এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য দেশের সকল মানুষের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের
আনুমানিক ৮ লাখ বাংলাদেশি এখন মালয়েশিয়ায় বসবাস ও কাজ করেন। এর মধ্যে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ অভিবাসী হয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত একান্ত বৈঠক করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি তার পুরনো বন্ধুকে ঢাকায় স্বাগত জানাতে পেরে 'অত্যন্ত আনন্দিত', কারণ তারা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একে অপরকে চেনেন।
অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লব, ছাত্র ও জনগণের আত্মত্যাগ এবং পূর্ববর্তী সরকারের হত্যাযজ্ঞ নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথাও বলেন।
তারা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকস্থলে যাওয়ার জন্য একই গাড়িতে উঠেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ- এই তিনটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা সহায়তা, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়া আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছে এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসিয়ানে বাংলাদেশের 'সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার' হওয়ার বিষয়টিও বিশেষভাবে উত্থাপন করা হয়।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সফরটি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর এবং টেকসই বন্ধুত্বের অভিব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী 'কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ'র ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার কোম্পানি ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সমস্যা দ্রুত সমাধান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী; স্বাগত জানালেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, দুর্নীতি, সুশাসন ও অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়ের সঙ্গে তারা আপস করে না।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যত দ্রুত সম্ভব যৌথ কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে অতি সংক্ষিপ্ত সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
৫৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুপুর ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাকে গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন এবং গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এটিই বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের প্রথম সফর।
বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি কয়েক ঘণ্টা কাটান।
অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হাই টি-এর আয়োজন করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়ে সই করেন বলে ইউএনবিকে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশে অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধনী বেশ কয়েকটি কোম্পানিসহ মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং এখন শিক্ষাসহ আরও বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক।
সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ করার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: পুরোনো বন্ধুকে স্বাগত জানাতে পেরে খুব আনন্দিত: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর পর ইউনূস
১ মাস আগে
বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশকে ঋণ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, জরুরি সংস্কার, বন্যা মোকাবিলা, উন্নত বায়ুর মান এবং স্বাস্থ্যের জন্য চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার নতুন অর্থায়ন করতে পারে।
মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি নতুন এই সহায়তার কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডায় সহায়তা করার জন্য চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে ঋণ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্যাংকটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রয়োজনে সহায়তা করবে উল্লেখ করে সেক বলেন, ‘আমরা আপনাকে যত তাড়াতাড়ি এবং যত বেশি সম্ভব সমর্থন করতে চাই।’
আরও পড়ুন: জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান ইউনূস
তিনি বলেন, নতুন প্রতিশ্রুতি ছাড়াও, বাংলাদেশের সব উন্নয়ন সহযোগীদের প্রধান উপদেষ্টার সহায়তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাটি বিদ্যমান প্রোগ্রামগুলোতে আরও প্রায় এক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত দেবে কি না তা পুনর্বিবেচনা করবে।
সেক বলেন, বিদ্যমান প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা হলে চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহজ শর্তে যে ঋণ ও অনুদান দেবে তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ বলেন, সংস্কারগুলো সম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশ এবং প্রতি বছর শ্রমবাজারে যোগ দেওয়া ২০ লাখ মানুষসহ তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য 'অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ'।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি হেডকে বলেন, বাংলাদেশের সংস্কারে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের শিথিলতা প্রয়োজন এবং ১৫ বছরের 'চরম অপশাসনের' পর নতুন যাত্রায় সহায়তা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই ভগ্নদশা থেকে আমাদের নতুন কাঠামো তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিকে নজর দিতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের অংশ হোন।’
আরও পড়ুন: একসঙ্গে কাজ করুন, বিশ্বে কার্যকর প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ান: শীর্ষ ব্যবসায়ীদের প্রতি ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সময় দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশ থেকে চুরি করা কোটি কোটি ডলারের সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংককে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘চুরি যাওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি আপনাদের আছে।’ ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ' গড়তে বাংলাদেশেরও বিশ্বব্যাংকের দক্ষতার প্রয়োজন হবে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি।’
তিনি বলেন, ব্যাংকটি বাংলাদেশকে ডেটা স্বচ্ছতা, ডেটা সম্পূর্ণতা, কর সংগ্রহে ডিজিটালাইজেশন এবং আর্থিক খাতের সংস্কারেও সহায়তা করতে চায়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার এবং বড় ধরনের সংস্কার করার এই সুযোগ হারাতে পারে না।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে: ড. ইউনূস
তিনি বলেন, 'একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে আসবে না।’
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের শহীদদের প্রতি শোক জানান সেক।
তিনি বলেন, ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা দেয়ালচিত্র ও ম্যুরাল দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন দৃশ্য কোথাও দেখিনি।’
সেক বলেন ‘তাদের ক্ষমতায়ন করা দরকার।’
২ মাস আগে
‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সম্পাদক পরিষদ।
শনিবার সংগঠনের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সিই এক বিবৃতির মাধ্যমে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুনের মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ডিইউজের অনুরোধ
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢালাও অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের এখনো অব্যাহত। সম্পাদক পরিষদ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চায়, এ ধরনের মামলা প্রচলিত আইনের অপব্যবহারের শামিল। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতিরও লঙ্ঘন। সাংবাদিকরা কোনো অপরাধ করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ধারা অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
সম্পাদক পরিষদ আরও জোর দিয়ে বলে, পেশাদারিত্ব বাদ দিয়ে নীতিবিবর্জিত ও লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা বর্জনীয়। যেসব সাংবাদিক বিগত সরকারের নানা নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডে সাংবাদিকতার নামে সমর্থন দিয়েছেন, প্রেস কাউন্সিলে একটি কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অনুসন্ধান হতে পারে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রেস কাউন্সিল আইনে তাদের সাজা হতে পারে। তাদের অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রচলিত আইনে তাদের বিচার চলতে পারে। বিগত সরকারের সময়ে ডিএসএ বা সিএসএসহ নিবর্তনমূলক বিভিন্ন আইন ও হয়রানিমূলক আটক-গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের যে প্রয়াস চালানো হয়েছিল, তা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অত্যন্ত নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছিল। আর বর্তমানে সাংবাদিকদের নামে এভাবে ক্রমাগত হত্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতাও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করছে বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।
যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত সাংবাদিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে এসব মামলা থেকে দ্রুত তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানায় সম্পাদক পরিষদ।
আরও পড়ুন: ২৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ ডিআরইউয়ের
২ মাস আগে
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির তৃতীয় বৈঠক সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) কমিটির সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এর সভাপতিত্বে বৈঠকটি হয়।
কমিটির সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এবং এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে শেষ অধিবেশন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বিবরণ ও প্রতিশ্রুতির হালনাগাদ অবস্থা এবং গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ও প্রশাসনে দুর্নীতি নিয়ে সরকারের সমালোচনায় এমপিরা
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলোর গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যানরা এবং বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
৪ মাস আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রদলের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই ঘোষণা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ছাত্রদল সভাপতি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবদলের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ
তিনি বলেন, ‘১৫ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে থাকবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ (মঙ্গলবার) থেকে কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে সর্বদা রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছে।’
একইসঙ্গে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার মূল উৎস বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ’ সরকারকে উচ্ছেদ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাভিত্তিক সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রদল সভাপতি।
পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘কটূক্তিমূলক’ বক্তব্য এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেদিন থেকে আন্দোলন শুরু করেছে, সেদিন থেকেই ছাত্রদল তাদের পাশে আছে।’
তবে এই আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আন্দোলনে ছাত্রদল সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে আছে। কিন্তু আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা ও সম্পৃক্ততা নেই, যাতে কেউ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে না পারে।’
রাকিব বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ছাত্রদল কোনো কৃতিত্ব নিতে চায় না। আমরা চাই এই যৌক্তিক আন্দোলন একটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনুক। আমরাও চাই এই বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত হোক এবং শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হোক।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাছির বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিষ্ঠুর ও নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রদেরও মারধর করেছে ছাত্রলীগ। এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনই নয়, ফৌজদারি অপরাধও বটে।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
৪ মাস আগে
প্রতারিত পারুল বেগমের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর
তানোরের পোস্ট মাস্টার দ্বারা প্রতারিত পারুল বেগমের গচ্ছিত দুই লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ইতোমধ্যে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক অধিদপ্তর।
তানোর পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় রবিবার (২৩ জুন) পলকের উপস্থিতিতে রাজধানীতে একটি বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: পলক
ডাক অধিদপ্তরের তানোর উপজেলা পোস্ট অফিসে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে টাকা জমা রেখে তা ফেরৎ না পাওয়ায় পারুল বেগমের আত্মহত্যার চেষ্টা-বিষয়ক যমুন টিভি এবং সময় টিভিতে সম্প্রচারিত প্রতিবেদন প্রতিমন্ত্রী পলকের নজরে আসে।
এরপর ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়ায় অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, পারুল বেগম তানোর উপজেলা ডাকঘরে দুই লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র কেনেন। সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় মুনাফা লাভের আশায় উপজেলা পোস্ট মাস্টার মোহাম্মদ মোকসেদ আলীর কাছে ওই টাকা জমা রাখেন এবং মাসে মাসে যথারীতি আগের মতোই মুনাফা গ্রহণ করে আসছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়বারে ২ লাখ টাকা জমা রাখার সময় তিনি অফিশিয়ালি কোনো সঞ্চয়পত্র কেনেননি, এমনকি পোস্ট অফিসে এফ ডি, এসবিতেও টাকা জমা রাখেননি। পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে তিনি আর্থিক লেনদেন করেন মাত্র। যেহেতু পারস্পরিক বিশ্বাসে টাকা জমা রেখেছেন, সেক্ষেত্রে এর দায় ডাক বিভাগের ওপর বর্তায় না।
তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট পোস্ট মাস্টারের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে ফেরত দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
এ ছাড়াও বাংলাদেশের সব পোস্ট অফিসে এমন অসঙ্গতি খুঁজে বের করে তা প্রতিহত করা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ঢাকায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সরকারি রশিদ ব্যতীত যেন কেউ কোন টাকা লেনদেন না করেন, সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে পলক বলেন, ‘ডাক বিভাগের অসৎ কর্মীদের জন্য গোটা ডাক পরিবার ও এর সব সদস্যের সম্মান আমরা নষ্ট করতে চাই না। তাই ডাক পরিবারের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে ও দেশের নাগরিকদের কাছে ডাক বিভাগের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে আমাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। অসৎ ও অন্যায়কারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পারুলের কান্না ডাক বিভাগের দায়বদ্ধতার বিষয়। ডাক বিভাগ যেন আর কোনো পারুল বেগমের কান্নার কারণ না হয়, তাই আমাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
‘আমরা চাই আমাদের ডাক বিভাগের সেবার মান বৃদ্ধি ও সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের নাগরিকদের সেবা দিতে এবং গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।’
আরও পড়ুন: বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা প্রতিমন্ত্রী পলকের
৪ মাস আগে
হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসসা আলদুহাইলান বলেছেন, এখনো ভিসা পাননি এমন হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।
সোমবার(১৩ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন তিনি।
হজযাত্রীদের আসন্ন হজে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে ভিসা প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। নানা জটিলতায় এখনো ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরব থেকে ভিসা পাননি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সৌদি বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবনার একটি তালিকা উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এই প্রস্তাবগুলো সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং অগ্রসরের আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনসহ বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সাম্প্রতিক সহায়তার চালানের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তার অল্প কিছু মিত্র দেশ ছাড়া সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে আছে।’
এছাড়াও, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শেখ হাসিনা সৌদি সরকারকে রেমিট্যান্সের জন্য বৈধ চ্যানেল ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান। এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়কেন্দ্রের রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে জাতিসংঘ: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে