প্রতিশ্রুতি
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির তৃতীয় বৈঠক সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) কমিটির সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এর সভাপতিত্বে বৈঠকটি হয়।
কমিটির সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এবং এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে শেষ অধিবেশন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বিবরণ ও প্রতিশ্রুতির হালনাগাদ অবস্থা এবং গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ও প্রশাসনে দুর্নীতি নিয়ে সরকারের সমালোচনায় এমপিরা
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলোর গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যানরা এবং বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের: মন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রদলের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই ঘোষণা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ছাত্রদল সভাপতি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবদলের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ
তিনি বলেন, ‘১৫ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে থাকবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ (মঙ্গলবার) থেকে কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে সর্বদা রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছে।’
একইসঙ্গে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার মূল উৎস বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ’ সরকারকে উচ্ছেদ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাভিত্তিক সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রদল সভাপতি।
পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘কটূক্তিমূলক’ বক্তব্য এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জুলাই) দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেদিন থেকে আন্দোলন শুরু করেছে, সেদিন থেকেই ছাত্রদল তাদের পাশে আছে।’
তবে এই আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আন্দোলনে ছাত্রদল সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে আছে। কিন্তু আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা ও সম্পৃক্ততা নেই, যাতে কেউ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে না পারে।’
রাকিব বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ছাত্রদল কোনো কৃতিত্ব নিতে চায় না। আমরা চাই এই যৌক্তিক আন্দোলন একটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনুক। আমরাও চাই এই বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত হোক এবং শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হোক।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাছির বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিষ্ঠুর ও নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রদেরও মারধর করেছে ছাত্রলীগ। এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনই নয়, ফৌজদারি অপরাধও বটে।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
প্রতারিত পারুল বেগমের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর
তানোরের পোস্ট মাস্টার দ্বারা প্রতারিত পারুল বেগমের গচ্ছিত দুই লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ইতোমধ্যে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক অধিদপ্তর।
তানোর পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় রবিবার (২৩ জুন) পলকের উপস্থিতিতে রাজধানীতে একটি বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: পলক
ডাক অধিদপ্তরের তানোর উপজেলা পোস্ট অফিসে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে টাকা জমা রেখে তা ফেরৎ না পাওয়ায় পারুল বেগমের আত্মহত্যার চেষ্টা-বিষয়ক যমুন টিভি এবং সময় টিভিতে সম্প্রচারিত প্রতিবেদন প্রতিমন্ত্রী পলকের নজরে আসে।
এরপর ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়ায় অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, পারুল বেগম তানোর উপজেলা ডাকঘরে দুই লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র কেনেন। সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় মুনাফা লাভের আশায় উপজেলা পোস্ট মাস্টার মোহাম্মদ মোকসেদ আলীর কাছে ওই টাকা জমা রাখেন এবং মাসে মাসে যথারীতি আগের মতোই মুনাফা গ্রহণ করে আসছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়বারে ২ লাখ টাকা জমা রাখার সময় তিনি অফিশিয়ালি কোনো সঞ্চয়পত্র কেনেননি, এমনকি পোস্ট অফিসে এফ ডি, এসবিতেও টাকা জমা রাখেননি। পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে তিনি আর্থিক লেনদেন করেন মাত্র। যেহেতু পারস্পরিক বিশ্বাসে টাকা জমা রেখেছেন, সেক্ষেত্রে এর দায় ডাক বিভাগের ওপর বর্তায় না।
তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট পোস্ট মাস্টারের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে ফেরত দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
এ ছাড়াও বাংলাদেশের সব পোস্ট অফিসে এমন অসঙ্গতি খুঁজে বের করে তা প্রতিহত করা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ঢাকায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সরকারি রশিদ ব্যতীত যেন কেউ কোন টাকা লেনদেন না করেন, সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে পলক বলেন, ‘ডাক বিভাগের অসৎ কর্মীদের জন্য গোটা ডাক পরিবার ও এর সব সদস্যের সম্মান আমরা নষ্ট করতে চাই না। তাই ডাক পরিবারের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে ও দেশের নাগরিকদের কাছে ডাক বিভাগের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে আমাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। অসৎ ও অন্যায়কারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পারুলের কান্না ডাক বিভাগের দায়বদ্ধতার বিষয়। ডাক বিভাগ যেন আর কোনো পারুল বেগমের কান্নার কারণ না হয়, তাই আমাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
‘আমরা চাই আমাদের ডাক বিভাগের সেবার মান বৃদ্ধি ও সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের নাগরিকদের সেবা দিতে এবং গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।’
আরও পড়ুন: বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা প্রতিমন্ত্রী পলকের
হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসসা আলদুহাইলান বলেছেন, এখনো ভিসা পাননি এমন হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।
সোমবার(১৩ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন তিনি।
হজযাত্রীদের আসন্ন হজে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে ভিসা প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। নানা জটিলতায় এখনো ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরব থেকে ভিসা পাননি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সৌদি বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবনার একটি তালিকা উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এই প্রস্তাবগুলো সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং অগ্রসরের আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনসহ বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সাম্প্রতিক সহায়তার চালানের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তার অল্প কিছু মিত্র দেশ ছাড়া সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে আছে।’
এছাড়াও, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শেখ হাসিনা সৌদি সরকারকে রেমিট্যান্সের জন্য বৈধ চ্যানেল ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান। এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়কেন্দ্রের রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে জাতিসংঘ: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী
উন্নয়ন-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলে জনগণকে উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে তার দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আসুন, আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনারা আমাদের ভোট দিন; আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে 'স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান' স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে ঘুষ ও দুর্নীতি নির্মূল, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা জোরদার করার বিষয়ও ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে আছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যোগ দিতে যাচ্ছে। এই রূপান্তর একদিকে যেমন সম্মানের, অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জের।
আরও পড়ুন: সকালে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নৌকায় ভোট দেবেন: তারাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাহক আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। আজকের বাংলাদেশ কোনোভাবেই দারিদ্র্যপীড়িত বা অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ 'পরিবর্তিত বাংলাদেশ'। বাংলাদেশ এখন একটি দ্রুতগতির দেশ যা তার সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ছোটখাটো ব্যর্থতা আজ আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতীতের ধারাবাহিকতায় এবার আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করেছে। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতা দ্বাদশ নির্বাচনী ইশতেহারেও বজায় রাখা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন খাত নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারের কয়েকটি বিষয় সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
যেসব বিষয় ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে:
- ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর- সুশাসন- জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন- জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলা- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি- গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এমন দাবি করবেন না যে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা সত্ত্বেও তারা সবসময় সরকার পরিচালনায় শতভাগ সফল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কথার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা যা বলি তাই করি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন তারই প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো বেশি দামে পণ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পণ্যের দাম এবং মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। বহুবার বহুমুখী ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে পারিনি। এই সমস্যা শুধু আমাদের দেশের জন্য নয়, এই সমস্যা ধনী-দরিদ্র সব দেশের জন্যও।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্দশা লাঘব করার চেষ্টা করছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা এই বাধা অতিক্রম করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
ইশতেহার উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলটির নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিৎ জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনএপি) ও আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত শ্রম অধিকারের বিষয়ে তার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি করা এবং মূল উদ্বেগের বিষয়ে প্রদত্ত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অর্জিত অগ্রগতিসম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন দেওয়া অব্যাহত রাখার কথা বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউ বলেছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতির জন্য ধন্যবাদ, বাংলাদেশ জিএসপি রেগুলেশনে উল্লিখিত ২৭টি জিএসপি+ আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদন করেছে।’
জিএসপি+ প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনের পূর্ণ সম্মতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ভবিষ্যত উত্তরণের আলোকে দেখা উচিৎ, যার অর্থ 'এভরিথিং বাট আর্মস' (ইবিএ) ব্যবস্থা থেকে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপিতে চলে যাওয়া- এমনটাই বলা হয়েছে ইউরোপীয় কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
এই প্রেক্ষাপটে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশ দেখাতে পারে, এটি জিএসপি প্রবিধানের অধীনে এর বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করে। বিশেষত উপরে উল্লিখিত হিসেবে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অধীনে শ্রম অধিকার সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারমানকে সম্মান করে।
ইইউ বাংলাদেশের জিএসপি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে এবং চলমান সম্পৃক্ততা জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল
'ইইউ এনহেন্সড এনগেজমেন্ট উইথ থ্রি এভরিথিং বাট আর্মস বেনিফিশিয়ারি কান্ট্রিজ: বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া অ্যান্ড মিয়ানমার' শীর্ষক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, মানবাধিকারের মূল উদ্বেগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সুশীল সমাজের স্থান উন্নত করা; কথিত নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের মামলা তদন্ত করা; মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) সুপারিশগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হয়, যার মধ্যে মৃত্যুদনডের বিলুপ্তি সম্পর্কিত, পাশাপাশি জাতিসংঘের চুক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থার সিদ্ধান্তগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জিএসপি সুবিধাভোগী তিনটি দেশ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে এটি দ্বিতীয় জয়েন্ট স্টাফ ওয়ার্কিং ডকুমেন্ট (এসডব্লিউডি)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান তাদের লক্ষ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তা প্রমাণ করতে চায়।
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করছেন এবং অনেকে অনেক জল্পনা-কল্পনা করছেন।
মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এসবের সমাধান হবে। ‘তারপর অনেক সমালোচনাই বন্ধ হয়ে যাবে।’
জোটের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। আমরা পর্যবেক্ষণ করব, এর মধ্যে সমন্বয় করব। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পথ বেছে নিয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখছি কারা কারা চাইছে। আমাদের একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে।’
কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারবো। আমাদের কৌশলগত দিক থাকবে।’
উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা অংশগ্রহণ করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। তাদের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। কেউ কেউ ইতো্মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।’
প্রসেঙ্গত, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
এখন সংলাপের আর সুযোগ নেই: কাদের
হুন্দাই তুসন: প্রতিশ্রুতির এক নতুন যুগের সূচনা
হুন্দাইয়ের জনপ্রিয় এসইউভি তুসন-এ আরও অনেক বেশি প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করল বাংলাদেশে হুন্দাইয়ের অনুমোদিত ম্যানুফ্যাকচারার ও ডিস্ট্রিবিউটর ফেয়ার টেকনোলজি।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেয়ার টেকনোলজি’র ডিরেক্টর ও সিইও মুতাসসিম দায়ান ঘোষণা করেন, আমরা বাংলাদেশের বাজারে হুন্দাই তুসন-এর নতুন দাম নির্ধারণ করেছি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মুতাসসিম দায়ান বলেন, বাজারে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা থাকলেও আমরা তুসন-এর দাম ১০ লাখ টাকার বেশি কমিয়েছি। এই পদক্ষেপ স্থানীয় উৎপাদনে হুন্দাইয়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনই শুধু নয়; বরং জনপ্রিয় এই এসইউভি’টি কিনতে আগ্রহী গ্রাহকদের প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারেরও বহিঃপ্রকাশ।
হুন্দাই তুসন-এর প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য ফেয়ার টেকনোলজির ‘আরও প্রতিশ্রুতি’-এর নীতি তুলে ধরে দায়ান জানান, ১ দশমিক ৬-লিটার টার্বো ইঞ্জিনের দারুণ এই এসইউভিতে আমরা আরও অনেক আকর্ষণীয় অফার নিয়ে এসেছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের সূচনা হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি জানান, যার মধ্যে রয়েছে এক লাখ কিলোমিটার বা ৫ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি এবং একই সময়ে দশটি ফ্রি সার্ভিস। এছাড়াও থাকছে তিন বছর বা ৪০ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে সর্বাচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত বাইব্যাক সুবিধা।
সংবাদ সম্মেলনে ফেয়ার গ্রুপের হেড অব কমিউনিকেশন হাসনাইন খুরশেদ, হেড অব মার্কেটিং জেএম তসলিম কবীর, ফেয়ার টেকনোলজি’র হেড অব সেলস আবু নাসের মাহমুদ, ম্যানেজার- সেলস অপারেশনস আতাউর রহমান ও প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুবাইয়াত উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ফেয়ার টেকনোলজি, হুন্দাই-এর ডিরেক্টর ও সিইও জনাব মুতাসসিম দায়ান বলেন, বিশ্ববাজারে তুমুল জনপ্রিয় হুন্দাই তুসন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে। দাম কমানো এবং ওয়ারেন্টি ও ফ্রি সার্ভিস সুবিধা বাড়ানোর কারণে তাদের মধ্যে চাহিদা আরও বাড়বে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
ফিউচারিস্টিক ও হাই-টেক ইমেজের হুন্দাই তুসন-এর প্রাণবন্ত স্পোর্টিনেস ও পরিশীলিত ডিজাইন ক্রেতাদের হৃদয় জয় করে এসইভি জগতে ট্রেন্ড-সেটার হয়ে উঠেছে। থ্রি-ডি প্যারামেট্রিক জুয়েল প্যাটার্ন রেডিয়েটর গ্রিল, হিডেন সিগনেচার ডে-টাইম রানিং ল্যাম্প (ডিআরএল), মাল্টি ফোকাল এলইডি হেড ল্যাম্প, অ্যারো-ডায়নামিক শেপ, প্যানোরামিক সানরুফ আর ১৯ ইঞ্চি ডায়মন্ড-কাট অ্যালয় রিম এবং লেদার সিট ও ছয়টি এয়ার ব্যাগ এর মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে হুন্দাই তুসন অতুলনীয় স্বাচ্ছ্বন্দ্য আর নিরাপদ যাত্রার প্রতিশ্রুতি দেয়।
তুসন- এর ১ দশমিক ৬ লিটার ইঞ্জিন ফোর হুইল ড্রাইভের পাওয়ার আউটপুট হলো ১৮০ পিএস/৫৫০০ আরপিএম, যা ড্রাইভিংয়ের সময় ভালো পারফর্মন্স দেয়।
এতে রয়েছে- প্যানারোমিক সানরুফ, ড্রাইভার মেমোরি ও পাওয়ার সিট, ১০ দশমিক ২৫ ইঞ্চি ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, বোস সাউন্ড সিস্টেম, ওয়্যারলেস চার্জার এবং ড্রাইভ মোড সিলেক্ট-এর মতো অনেক প্রিমিয়াম ফিচার।
তুসনে রয়েছে ছয়টি এয়ারব্যাগ, ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ ক্যামেরা, ফরওয়ার্ড এন্ড রিভার্স পার্কিং ডিস্টেন্স ওয়ার্নিং সিস্টেম, ওয়ার্নিং সিস্টেম সম্বলিত ব্লাইন্ড স্পট ভিউ মনিটর। অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস), ইলেক্ট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল, ডাউনহিল ব্রেক কন্ট্রোল, হিল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসিস্ট এবং ট্রেইলার স্ট্যাবিলিটি অ্যাসিস্ট। আর এই সবই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাত্রা।
বাংলাদেশের অটোমোবাইল খাতকে আরও এগিয়ে নিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে জনপ্রিয় এই এসইউভি উৎপাদন করছে বাংলাদেশে হুন্দাই গাড়ির প্রস্তুতকারক ও পরিবেশক ফেয়ার টেকনোলজি।
তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাতটি শোরুম ও তিনটি সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করে হুন্দাই গাড়ির বিভিন্ন মডেলের ক্রেতাদের বিশ্বমানের বিক্রয়োত্তর সেবাদান করছে। যা আরও অনেক সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখের সূচনা
বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিতে খুশি ফ্রান্স
এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফ্রান্স। দুই দেশ বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরে উন্নত এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অব্যাহত সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
শান্তি, সমৃদ্ধি ও জনগণের জন্য বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের অংশীদারিত্বের যৌথ ঘোষণায় উভয় দেশ কৌশলগত খাতে বর্ধিত সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছে।
বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স সার্বভৌমত্ব এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে একটি স্থিতিশীল, বহু-মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বের মূল নীতি হিসাবে বিবেচনা করে।
একইভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের ২০৪১ সালের রূপকল্পে অবদান রাখার জন্য দুই দেশ এয়ারবাস ডিএস এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) মধ্যে একটি মহাকাশ অংশীদারিত্বের সমাপ্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। যা নিজস্ব সার্বভৌম পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটের মালিক হওয়ার পরে মহাকাশ জাতি হিসাবে বাংলাদেশের অস্থানকে শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন: তুরাগে নৌকা ভ্রমণ করলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আইসিটি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফ্রান্স বাংলাদেশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের মতো উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
তারা আন্তর্জাতিক আইনে নিয়ন্ত্রিত একটি বৈশ্বিক, উন্মুক্ত এবং নিরাপদ সাইবারস্পেসের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সমস্যাগুলোর একটি বর্ধিত ব্যবস্থাপনার দিকে তাদের প্রচেষ্টায় যোগদানের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
ফ্রান্স সাইবার নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা শনাক্ত করতে কাজ করবে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টে একসঙ্গে কাজ করবে।
অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের অগ্রগতি, টেকসই শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব বিদ্যমান।
এই বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে বহু-স্তর বিশিষ্ট ঐতিহাসিক বন্ধন যা উল্লেখযোগ্যভাবে দেখেছে ফ্রান্সের সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আন্দ্রে মালরাক্স, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য তাঁর স্মরণীয় আহ্বান এবং ঢাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তার পরবর্তী বৈঠক এপ্রিল 1973 সালে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতির স্বাধীনতাকে সম্মান করে ফ্রান্স: প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী
এই বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে বহুস্তরবিশিষ্ট ঐতিহাসিক সম্পর্ক। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফ্রান্সের সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আন্দ্রে মালরাক্স ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য তার স্মরণীয় আহ্বান এবং ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে ঢাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ।
২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের সময় বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁকে। তার আমন্ত্রণের আলোকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২০২৩ সালের ১০ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সোমবার ঢাকায় বৈঠক করেন। বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি এবং জনকেন্দ্রিক সংযোগের সমর্থনে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে উৎসাহিত করে একটি বিশ্বস্ত ও অর্থবহ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে তাদের অভিন্ন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮৪ ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি সই
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, পুলিশ জঙ্গিসহ এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে সক্ষম।
বুধবার বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
জঙ্গিদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান বিষয়ে দেশের শীর্ষ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গিদের দমন করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। যখনই তারা সংগঠিত হয়েছে এবং তাদের বিদ্যমান বাহিনীকে জানানোর চেষ্টা করেছে.. , যে কোন জায়গায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা তথ্য পাই। এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি।’
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর কথিত নাশকতার চেষ্টা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাদের জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা করেননি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
আইজিপি বলেন, ‘যখনই নাশকতার চেষ্টা হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হবে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসককে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম, যিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান