মঙ্গলবার ঢাকায় চীনা দূতাবাস জানায়, চীন সরকারের একটি বিশেষ বিমানে করে কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য চিকিৎসার সরঞ্জাম এখানে আনা হবে।
বিশ্বব্যাপী করেনাভাইরাসের মহামারী মোকাবিলায় প্রয়োজনবোধে চীন বন্ধুত্বের সহায়তা এবং মানবজাতির সুষ্ঠু বসবাস গড়ে তোলার প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, করোনভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে রসদ সরবরাহের জন্য কাজ করছে।
‘আমাদের এটি দরকার ... আমাদের পর্যাপ্ত মজুদ থাকা দরকার’ যোগ করে তিনি আরও বলেন, সরকার বেসরকারি কোম্পানিগুলোকেও টেস্টিং কিট এবং অন্যান্য চিকিৎসার রসদ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে।
চীন সম্প্রতি করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে বিপুল সংখ্যক টেস্টিং কিটসহ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করার ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশে দিতে যাওয়া চীনের জরুরি মানবিক সাহায্য প্রকল্পের মধ্যে থাকছে ১০ হাজার মানুষের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট, ১৫ হাজার সার্জিক্যাল এন৯৫ মাস্ক, ১০ হাজার সুরক্ষা পোশাক ও ১ হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশকে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছেন আলিবাবা গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান জ্যাক মা।
শনিবার এক টুইট বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
মাস্ক, পরীক্ষার কিট, প্রতিরক্ষামূলক পোশাক, প্লাস ভেন্টিলেটর এবং থার্মোমিটারসহ জরুরি বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ছাড়াও এ সাহায্য পাবে আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া, লাওস, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা।
নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. মোমেন বলেন, নতুন চ্যালেঞ্জকে কাটিয়ে উঠতে সরকার কঠোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি চ্যালেঞ্জ, আমরা একসাথে কাজ করলে চ্যালেঞ্জটি কাটিয়ে উঠতে পারব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে কাটিয়ে উঠেছে।
‘বিশ্বে আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় মডেল হিসেবে পরিচিত। আমরা সফলভাবে এটি পরিচালনা করেছি,’ ড. মোমেন যোগ করেন।
সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়ে ড. মোমেন বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা যে কোনো ভালো সুপারিশ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। ‘আমরা ভালো সুপারিশের জন্য প্রস্তুত রয়েছি, আমরা আমাদের জনগণকেও সচেতন করছি (সচেতনতা তৈরি করতে)।’
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে নিয়ে আসা চিকিৎসা সরবরাহ সম্পর্কে চীনের সাথে সরকার যোগাযোগ করছে।
ইতোমধ্যে, স্থানীয় কোম্পানিগুলো পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) এবং মাস্ক উৎপাদন শুরু করেছে।
৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার।