সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এর আগে গত ১৬ মার্চ থেকে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। তখন থেকে স্কুলে আর কোনো ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে অনলাইনে ও টিভিতে বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাস অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় বিভিন্ন ধাপে সেই ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত।
এদিকে সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ১২ শতাধিক।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ হাজার ৯৯ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মোট ৯০ হাজার ১৬৯ জন আক্রান্ত হলেন।
এছাড়া নতুন করে আরও ১২ জন এই ভাইরাসে মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২০৯ জনে দাঁড়িয়েছে, বলেন তিনি।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭০০ জনে। এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ৯২২ জন। পাশাপাশি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার পর্যন্ত ২০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩২ জনের। এছাড়া ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ লাখ মানুষ এবং মারা গেছেন ৪৩ হাজার ৩৩২ জন।
আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এরপরই রয়েছে ভারত, যুক্তরাজ্য এবং স্পেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর করোনাভাইরাসে মৃতের তালিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৭৮৩ জন।
এদিকে, চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে যে দেশটিতে রবিবার নতুন করে আবারও ৪৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৯ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে সেখানে নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।