জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতাল থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়।
তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় ২৩ জুন তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ।
জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জাল কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
এর আগে ২৩ জুন এ মামলায় ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ গুলশানের কনফিডেন্স টাওয়ারের জেকেজি হেলথকেয়ারের অফিস থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডা. সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও সংগ্রহ করা নমুনার কোনো পরীক্ষা না করেই হাজার হাজার ভুয়া কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট সরবরাহ করার এ ন্যাকারজনক কাজের সাথে তার জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশের কাছে বিস্তারিত স্বীকার করেন তার স্বামী আরিফুল।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হওয়ায় আলোচনায় আসেন জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।
প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, জেকেজির প্রতারণার জন্য সাবরিনা দায়িত্ব এড়ানোর কোনও সুযোগ নেই কারণ জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বামী আরিফ চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটির সাথে এ চিকিৎসকের সম্পৃক্ততা বিষয়ে স্বীকার করেছেন।