তিনি বলেন, ‘গত কয়েকমাসে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে আর্থিকসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে সরকার। এছাড়াও এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।’
ঢাকায় দক্ষিণখানে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে পুঁজি সহায়তা কর্মসূচির অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুর রহমান বলেন, কোভিড-১৯ এ প্রতিবন্ধী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এবং লকডাউনের সময় পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে তাদের পুঁজি নিঃশেষ করে ফেলেছেন। বর্তমানে তারা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে স্বাবলম্বী করা অতি জরুরি। এই লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি। তাদের এই প্রয়াস দেশে দারিদ্র বিমোচনে, এসডিজি বাস্তবায়নে এবং দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য প্রতিমন্ত্রী দল-মত-নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চার্ড এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।