বৃহস্পতিবার নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
নতুন মৃত্যু ও শনাক্তসহ দেশে এখন করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯৬ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৩ জন।
নতুন করে মারা যাওয়া ৩৯ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৯৭১ জন এবং নারী মারা গেছেন ৫২৫ জন
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৮৯টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৯ লাখ ৯৩ হাজার ২৯১টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে, করোনাভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৪০ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৯৬৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি: জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ১২৪ জনে।
এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৭৭ জনে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৭৫ হাজার ৩৬৬ জন।
এদিকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৯১৪ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৭ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।