তিন আসনে ভোটার রয়েছেন ১০ লাখের বেশি। ভোটগ্রহণ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হবে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি তিন আসনের সবগুলোতে এবং বিএনপি দুটিতে নির্বাচন করছে। বাগেরহাট-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথম লকডাউন দেখল মাদারীপুর
ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি ও লালবাগ) আসনে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪-১৮ ও ২২ ওয়ার্ড মিলিয়ে এ আসনে ভোটকেন্দ্র আছে ১১৭টি।
আসনটিতে আওয়ামী লীগের মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) ও বিএনপির শেখ রবিউল আলমসহ ছয় প্রার্থী রয়েছেন। বাকি চার প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী ও পিডিপির আবদুর রহিম।
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নিয়ে শুক্রবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ইভিএমে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
তবে, ঢাকা-১০ উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহতাব উদ্দিন শুক্রবার বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন।
‘প্রতিটি বুথে স্যানিটাইজার ও টিস্যু থাকবে। ভোট দিতে ইভিএমের বোতাম চাপ দেয়ার আগে হাত ধোয়ার জন্য ভোটারদের আহ্বান জানিয়ে ব্যানার থাকবে,’ বলেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে লড়ার জন্য সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস গত ২৯ ডিসেম্বর পদত্যাগ করলে ঢাকা-১০ আসনটি খালি হয়।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইউনূছ আলী সরকার গত ২৭ ডিসেম্বর মারা গেলে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ি) আসন শূন্য হয়। এতে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২১১ জন ভোটার এবং ১৩২টি ভোটকেন্দ্র আছে।
এ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চার প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের উম্মে কুলছুম স্মৃতি, বিএনপির ডা. ময়নুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টির ময়নুর রাব্বি ও জাসদের খাদেমুল ইসলাম খুদি।
গত ১০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন এবং ভোটকেন্দ্র আছে ১৪৩টি। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই প্রার্থী- আওয়ামী লীগের আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টির সাজন কুমার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২১ মার্চ ভোটের দিন রেখে গত ৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।