পাকুন্দিয়ার ষাইটকাটহন পূর্বপাড়া গ্রামে রবিবার রাতে এক শিশুকে প্রতিবেশী দুই কিশোর তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় শিশুটির মা পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে।
তারা হলো- ওই গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে কাউসার (১৪) ও সেলিম মিয়ার ছেলে ফেরদৌস (১৬)। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষায় শিশুটিকে ধর্ষণের সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, কটিয়াদীতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার তার বাবা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ লোহাজুরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, বুধবার রাতে সুমন নামে এক যুবক ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সুমন ও তার দুই বন্ধু শুভন ও শামীম কিশোরীকে ছয় দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
সুমন লোহাজুরী ইউনিয়নের দশপাখী গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে। শুভনের বাড়ি দশপাখী গ্রামে এবং শামীম পাকুন্দিয়া উপজেলার পূর্ব চরপাড়াতলা গ্রামের বাসিন্দা।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এবং আটক ইউপি সদস্যকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।