রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে অপহৃত কিশোর তৌহিদুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদের আলোকে এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার নিশ্চিতে এবং নিয়মিত তদারকি ও পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি), তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদারককারী সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) জনস্বার্থে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন (মানিক)।
রুলে ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ ও নিয়মিত তদারকির জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট আদালত, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, আইজিপি, ডিসি গুলশান, ডিসি (ডিবি) গুলশান, সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
নিহত তৌহিদুল ইসলাম পরিবারের সঙ্গে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার চার নম্বর সড়কের ডি ব্লকে থাকতেন। তার বাবা মোহাম্মদ নবী হোসেন জমি কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তৌহিদুল ছিলেন দ্বিতীয়।
আগে মাদরাসায় পড়ে আসা তৌহিদুল বর্তমানে ভাটারার ডুমনি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ছিলেন। তৌহিদুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জুয়েল রানা নামে বসুন্ধরা সিকিউরিটিজের একজন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ২৬ নভেম্বর সকালে বসুন্ধরার ‘পি’ ব্লকের একটি ক্ষেত থেকে তৌহিদুলের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন জুয়েল রানা।