রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার চৌড়হাস আদর্শপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব (২৫), এরশাদ নগর আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে সুজন (২২), পূর্ব মজমপুর গ্রামের নান্নু ড্রাইভারের ছেলে শাহরিয়ার নাইম রাব্বি (২৪) এবং চৌড়হাস ফুলতালা গ্রামের কোহিনুরের ছেলে পিয়াস (২৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র পলাশ মোটরসাইকেলে করে পিটিআই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা তার পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত পলাশকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত পলাশের মা সদর উপজেলার পুরাতন কুষ্টিয়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী সেলিনা বেগম ছয় আসামি নামোল্লেখসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ জুন আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ ঘটানো হয় উল্লেখ করে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বলেন, কুষ্টিয়া মডেল থানার মেধাবী কলেজছাত্র পলাশ হত্যা মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে এ হত্যাকাণ্ডে চার আসামির জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় এবং বয়স বিবেচনায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।