কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত মর্টার শেল বিস্ফোরণে পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া তার বাঁ পা ঝলসে গেছে এই বিস্ফোরণে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেনের পেছনে তার নিজ বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে পা হারানো বাবু মিয়া (৪০) দেওয়ানের খামার গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে।স্থানীয়রা জানায় তিনি পেশায় লেদ মিস্ত্রি।
পরিত্যক্ত মর্টার শেলটি স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
বাবু মিয়া গুরুতর আহত হলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাটি কাটার কাজ করতেন বাবুর মামা আব্দুল গফুর। একই গ্রামের আজিজ কমান্ডারের বাড়ির পাশে পুকুরের মাটি কাটার সময় একটি ভারী লোহার বস্তু পান আব্দুল গফুর। পরে সেটাকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে এনে বাবুকে দেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু তার নিজ বাড়ির রান্নাঘরের দরজা বন্ধ করে লোহা কাটার গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে মর্টার শেলটি কেটে গুপ্তধন বের করতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
মর্টার শেলটি বিস্ফোরিত হয়ে রান্নাঘরের টিনের বেড়া ছিঁড়ে যায়। এতে বাবুর ডান পায়ের গোড়ালিসহ হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও অপর পা ঝলসে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ভূরুঙ্গামারী কচাকাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি পরিত্যক্ত মর্টার শেল ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএসআরএমের কারখানা থেকে ২টি মর্টার শেল উদ্ধার