তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানের কৃষি উৎপাদন ধারা অব্যাহত রাখতে এবং উৎপাদন বাড়াতে ভবিষ্যতের ফসলের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আউশের জন্য বীজ ও সার প্রভৃতি প্রণোদনা বিনামূল্যে সারা দেশে কৃষকের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। পাটের ও তিলের বীজ দেয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির জন্যও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
শনিবার টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে ৪ শতাংশ সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রণোদনা ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর সাথে কৃষিখাতে নয় হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সার্বিক কৃষিখাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ ৯ শতাংশ সুদের স্থলে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব প্রণোদনা বিতরণে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হলে সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
করোনার কারণে বিশ্বের তিন কোটি মানুষের অনাহারে মৃত্যু হতে পারে বলে ডব্লিউএফপি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে- সাংবাদিকদের এমন কথার জেরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে যে ফসল আছে তা যদি সঠিকভাবে ঘরে তোলা যায় তবে আশা করা যায়, বাংলাদেশে আগামী ৭-৮ মাসের মধ্যে খাদ্যের কোনো ঘাটতি হবে না। বরং কিছু খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, তানভীর হাসান ছোট মনির, মো. ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক, পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাকসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।