বিএমআরসির পরিচালক ডা. মাহমুদ-উজ-জাহান ইউএনবিকে বলেন, ‘চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকার ৩-পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমোদনের বিষয়টি দুই তিনদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’
তিনি বলেন, প্রায় এক মাস আগে, আইসিডিডিআর,বি কোভিড-১৯ টিকার ৩-পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করার অনুমতি চেয়ে বিএমআরসির কাছে আবেদন করেছিল। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে আজই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
‘আমরা তাদের করা আবেদনটি পর্যালোচনা করেছি,’ যোগ করেন তিনি।
তবে, এ অনুমোদনই শেষ কথা নয়, আইসিডিডিআর,বি কে আরও কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তাদেরকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমতি নিতে হবে।
কোভিড-১৯ মহামারিতে আইসিডিডিআর,বির প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখার সাথে সাথে গত ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে আসছে আইসিডিডিআর,বি।
কোভিড-১৯ এর জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা কমিটির (এনটিএসি) অংশ হয়ে আইসিডিডিআর,বি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ, হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নতকরণ এবং টিকা গবেষণার বিষয়ে সরকারকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে।
মহামারির সময়ে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এনটিএসি গঠিত হয়।
এর আগে ১৭ জুন, আইসিডিডিআর,বি অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন বা ইভারমেকটিনের সংমিশ্রণে অ্যান্টি-প্যারাসিটিক ওষুধ আইভারমেকটিনের সুরক্ষা ও কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য র্যান্ডমাইজ, ডাবল-ব্লাইন্ড, প্লেসিবো-নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করে।
পরে ২৬ জুন, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ঢাকার মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কোভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের সার্স-কোভ-২ পরীক্ষা করে।