আইসিডিডিআর,বি
চিকিৎসাবঞ্চিত দরিদ্র ও সম্প্রদায়কে নিয়ে গবেষণায় অবদান রাখছে আইসিডিডিআর,বি: লিলি নিকোলস
আইসিডিডিআর,বি শুধু গবেষণায় নয়, সম্প্রদায়ের জন্যও অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস।
তিনি বলেন, বিশেষ করে দরিদ্র লোক, যাদের চিকিৎসা পরিষেবার কোনো উপায় বা সুযোগ নেই তাদের নিয়ে গবেষণা করছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে ড. নিকোলস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অবিশ্বাস্য অবদান। আপনি পরবর্তীতে কী করবেন তা দেখার জন্য আমিও খুব আগ্রহী। কানাডা অবশ্যই শুরু থেকেই গর্বিত মূল দাতা হিসেবে আপনাদের সঙ্গে ছিল এবং থাকবে।’
বৈশ্বিক স্বাস্থ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের ৬৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালী ক্যাম্পাসে আইসিডিডিআর,বি'র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া চুক্তি সংস্থা (এসইএটিও) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) সহায়তায় কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরি (সিআরএল) নামে চালু হয়। পরে ১৯৭৮ সালে আইসিডিডিআর,বি নামে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংসদে পাস হওয়া আইসিডিডিআর,বি আইন ২০২২-এর প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়, যা একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিডিডিআরবি'র ভূমিকা পুনর্ব্যক্ত করে।
বিশেষ সেমিনারে তাহমিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হয়। চিকিৎসা গবেষণা ও জনস্বাস্থ্যে আইসিডিডিআরবি'র গুরুত্বপূর্ণ অবদান তুলে ধরেন তিনি।
আইসিডিডিআর,বি'র ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ওআরএস) এর যুগান্তকারী উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. আহমেদ। টিটেনাস টক্সয়েড ভ্যাকসিন গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিসহ শৈশবকালীন ডায়রিয়াজনিত রোগের মৃত্যুহার হ্রাস এবং মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের অগ্রগতিতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
কার্যকর মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা তৈরি, গুরুতর অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য গাইডলাইন প্রতিষ্ঠা এবং বৈশ্বিক পোলিও নির্মূল প্রচেষ্টায় অবদান রাখার ক্ষেত্রে আইসিডিডিআরবি'র নেতৃত্বের কথাও উঠে আসে তার বক্তব্যে।
আরও পড়ুন: সন্তান প্রসবে সবচেয়ে বেশি ব্যয় সিজারে: আইসিডিডিআরবি
১১ মাস আগে
‘প্রতিটি পুরস্কারই আমাকে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে’
আইসিডিডিআর,বি-এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ডক্টর ফিরদৌসি কাদরী গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার (স্বাধীনতা পদক)-২০২৩ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দুটি বিশেষ কারণে আজ আমার জন্য খুব আনন্দের দিন। আর প্রথমটি হলো বাংলাদেশ সরকার আমাকে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এবং দ্বিতীয়টি হলো- আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছি। যাকে ২০১৯ সালে দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স জিএভিআই ভ্যাকসিন হিরো হিসেবে ভূষিত করেছিল।
ডা. কাদরী বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও সংস্থার পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সকলের সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব হতো না।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পুরস্কারই আমাকে নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। তবে আজ যে সম্মানটি পেয়েছি তা অবশ্যই দেশ ও জনগণের জন্য আরও বেশি অবদান রাখার অনুপ্রেরণা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ডক্টর কাদরীও এ বছর পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে তার সকল সহকর্মী, তার চার দশকের কর্মজীবনের শুভানুধ্যায়ী, আসিডিডিআর,বি এবং এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদকে ধন্যবাদ জানানোর সুযোগটি গ্রহণ করেন।
এই উপলক্ষে, আসিডিডিআর,বি -এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ ডা. কাদরীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এটি বাংলাদেশে এবং এর বাইরে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের অগ্রগতির জন্য তার অক্লান্ত প্রচেষ্টার একটি উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি। ডক্টর কাদরীর কৃতিত্ব গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে এবং আমরা তাকে আসিডিডিআর,বি -এ আমাদের দলের একজন অংশ হিসেবে পেয়ে গর্বিত।’
ডা. কাদরী বর্তমানে আসিডিডিআর,বি -এর সংক্রামক রোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করছেন। কলেরা, টাইফয়েড এবং অন্যান্য রোগের ভ্যাকসিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তার কাজ তার অসংখ্য পুরস্কার এবং স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত বিজ্ঞানীদের একজন করে তুলেছে। ২০২১ সালে, ডক্টর কাদরীকে র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়, প্রায়ই এটিকে ‘এশিয়ার নোবেল পুরস্কার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
তিনি ২০২০ লোরেল-ইউনেস্কো ফর উইমেন ইন সায়েন্স অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ীও। ডক্টর কাদরী ২০১২ সালে ফাউন্ডেশন ক্রিস্টোফ এট রোডলফ মেরিক্সের বার্ষিক বৈজ্ঞানিক 'গ্র্যান্ড প্রাইজ'-এ ভূষিত হন।
২০০৫ সালে আইসিডিডিআর,বি মর্যাদাপূর্ণ স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। আইসিডিডিআর,বি ডক্টর ফিরদৌসি কাদরী এবং এই বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের সকল প্রাপকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানায়।
১৯৭৭ সালের ২৬ মার্চ পালিত স্বাধীনতা দিবসের আগে বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে আসছে।
১ বছর আগে
ঢাকায় ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে: আইসিডিডিআর,বি’র সমীক্ষা
রাজধানীতে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের সাব ভেরিয়েন্ট বিএ.৫ এর সংক্রমণ মারাত্মক হারে বাড়ছে। ওমিক্রনের এই সাব ভেরিয়েন্টটিকে অতীতের চেয়ে অধিক সংক্রামক মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিআর,বি) ঢাকায় ওমিক্রন সাব-ভেন্টিয়েন্ট বিএ.৫ এর দ্রুত বিস্তারের কথা জানায়।
গত ছয় সপ্তাহ (চলতি বছরের ১৪ মে থেকে ২৪ জুন) এই সাব-ভেরিয়েন্টের বিস্তার সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
আইসিডিআর,বি জিনোম সিকোয়েন্সিং করে জানায়, এই সময়ে করোনা শনাক্ত হওয়া ৫২ জনের মধ্যে ৫১ জনই ওমিক্রনের বিএ.৫ সাব-ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। বাকি একজন বিএ.২ ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত।
আইসিডিআর,বির প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্স-কোভ-২ ভেরিয়েন্টগুলো পরিবর্তিত হয়ে নতুন নতুন রূপ লাভ করে।
ভিন্ন আরেক গবেষণায় দেখা যায়, ৪০ জন ওমিক্রন বিএ.৫ সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ৩৮ জন রোগী কমপক্ষে করোনা টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জন টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, ২১ জন টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এবং একজন শুধুমাত্র টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন।
এছাড়াও ৩৯ জন করোনা রোগীর হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ ছিল এবং একজনের কোনো উপসর্গ ছিল না। শুধুমাত্র একজনকে একদিনের জন্য হাসপাতালে ভতির্ থাকতে হয়। এতে বোঝা যায় এই সাব-ভেরিয়েন্টের তীব্রতা কম।
বিশেষজ্ঞেরা সকলকে করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার জন্য টিকা নেয়াসহ সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলার অনুরোধ জানান। এছাড়া এখনও যারা টিকা নেননি, তাদের সকলকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি: কমলাপুর রেলস্টেশনে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘনের মহোৎসব
গত ১৯মে ঢাকায় প্রথম সন্দেহভাজন ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট বিএ.৫ শনাক্ত করা হয়েছিল এবং বাংলাদেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথমবার শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৬ ডিসেম্বর।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় এক হাজার ৯৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে ও সাত জনের এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৮১ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৭২ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯ হাজার ২৭৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৪ মাস পর করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু
২ বছর আগে
আইসিডিডিআর,বি’র গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রশংসা কানাডীয় রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেছেন, আইসিডিডিআর,বি’র জনস্বাস্থ্য গবেষণার পরিমাণ এবং গবেষণা কত সহজে স্বল্পমূল্যের সমাধানে রূপান্তরিত করা যায় তা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার ড. লিলি নিকোলস রাজধানীর মহাখালীর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) প্রথমবারের মতো পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আম, সবজি ও আলু নিতে চায় ইরাক
২ বছর আগে
উত্তরায় চালু হল আইসিডিডিআর,বি’র নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) রাজধানীর উত্তরায় নতুন নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করেছে।
বৃহস্পতিবার আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ ও ল্যাবরেটরি সায়েন্সেস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. দিনেশ মন্ডল উত্তরার ১৪ নং সেক্টরের ৩৫ নং হাউজের এসএইচ প্রোপার্টিজের তৃতীয় তলায় এ নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহের কাজ চলবে।
তবে, করোনা পরীক্ষায় ইচ্ছুক ব্যক্তিদের হাসপাতালের মহাখালী কেন্দ্রে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রবীণদের প্রতি ৫ জনের ৪ জন অসংক্রামক রোগে ভুগছেন: আইসিডিডিআর,বি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. তাহমিদ আহমেদ রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরি টেস্টের গুণমান ও সহজলভ্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আইসিডিডিআর,বি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবাকে শক্তিশালী করার প্রয়াসে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ প্রচেষ্টার জন্য অপরিহার্য।
ডা. দীনেশ বলেন, ‘এই নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রটি শুধু উত্তরার মানুষদেরই উপকৃত করবে না, বরং এর পার্শ্ববর্তী এলাকা যেমন টঙ্গী ও গাজীপুরে বসবাসকারী মানুষদের জন্যও নির্ভরযোগ্য ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে সঠিক রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করবে।’
উল্লেখ্য, আইসিডিডিআর,বির ডায়াগনস্টিক সেবা থেকে অর্জিত অর্থ প্রতি বছর আইসিডিডিআর,বির ঢাকা ও চাঁদপুরের মতলব হাসপাতালে আসা দুই লাখেরও বেশি রোগীর বিনামূল্যে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সেবা প্রদানে সহায়তা করবে।
আইসিডিডিআর,বি ল্যাব বাংলাদেশের প্রথম আইএসও১৫১৮৯ এবং আইএসও১৫১৯০ (নিরাপত্তা) স্বীকৃত ল্যাবরেটরি।
আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না: আইসিডিডিআর,বি
কোভিডের বিরুদ্ধে আইভারমেকটিনের কার্যকারিতা আশাব্যঞ্জক: আইসিডিডিআর,বি
২ বছর আগে
নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না: আইসিডিডিআর,বি
বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না বলে আইসিডিডিআর,বি ও ম্যাসাচুসেটস জেনেরাল হসপিটালের (এমজিএইচ) যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক এ.কে.এম. তারিফুল ইসলাম খানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিডিডিআর,বি এবং ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল (এমজিএইচ)- এর এক গবেষণাতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে রোগজীবাণু প্রতিরোধী হয়ে উঠছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই সেটা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন : ঢাকায় ৭১ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি: আইসিডিডিআরবি
আইসিডিডিআর,বি-এর নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশনের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. মোহাম্মদ জোব্বায়ের চিশতি এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন।
ড. চিশতি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত অ্যান্টিবায়োটিক ও শ্বাসতন্ত্রের উন্নততর চিকিৎসা পাওয়ার পরেও ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কয়েক ডজন শিশু নিউমোনিয়ায় মারা গেছে।’
নিউমোনিয়া ফুসফুসের একটি সংক্রমণ। যার ফলে বায়ু থলিগুলোতে তরল পদার্থ ও পুঁজ জমা হয় এবং এতে কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। কার্যকর চিকিৎসা ছাড়া এই সংক্রমণ মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোভিডের বিরুদ্ধে আইভারমেকটিনের কার্যকারিতা আশাব্যঞ্জক: আইসিডিডিআর,বি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ নিউমোনিয়া। কমবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়া হতে পারে, তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়ার কারণেও নিউমোনিয়া হতে দেখা যায়। আরও উদ্বেগের বিষয় যেসব শিশুর ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ ছিল না তাদের তুলনায় অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর সম্ভাবনা ১৭ গুণ বেশি ছিল।
৩ বছর আগে
দেশে ৬০ ঊর্ধ্ব প্রায় ৮ শতাংশ মানুষ ডিমনেশিয়ায় ভুগতে পারে: গবেষণা
একটি জাতীয় সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি ১২ জনের মধ্যে একজন মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মানুষের ডিমনেশিয়া হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। ডিমনেশিয়া হল এমন একটি মানসিক সমস্যা, যা বয়স বাড়াল কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মানুষ সঠিক ভাবে তথ্য মনে রাখতে পারে না এবং কথা বলতে পারে না।
বুধবার আইসিডিডিআর,বি, স্বাস্থ্য অধিদফতর(ডিজিএইচএস) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের (এনআইএনএস) এর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে বয়স্কদের মধ্যে স্মৃতিচারণের বোঝা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারের আয়োজন করে। আলোচনায় সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাবিতে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণায়, কমেছে চিকিৎসায়
অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ডিমনেশিয়া হওয়ার প্রবণতা রাজশাহীতে ১৫% এবং রংপুরে ১২% বেশি। শহরে এবং গ্রামীণ অঞ্চলে এই প্রবণতার পার্থক্য ৮%।
গবেষণায় বলা হয়, পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে ডিমনেশিয়া হওয়ার প্রবণতা বেশি। এছাড়া, ২০২০ সালে বাংলাদেশে মোট ডিমনেশিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ১.১ মিলিয়ন হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। যার মধ্যে ০.২৮ মিলিয়ন পুরুষ এবং ০.৮৩ মিলিয়ন মহিলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে ৬৫ শতাংশ এন্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে: গবেষণা
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ১.৩৭ মিলিয়ন হতে পারে এবং ২০৪১ সালে এই সংখ্যা দ্বিগুণ ২.৪ মিলিয়ন হতে পারে। যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ডিমনেশিয়া, এমন একটি লক্ষণ যেখানে স্মৃতিশক্তি, চিন্তাভাবনা, আচরণ এবং প্রতিদিনের কার্যকলাপ সম্পাদন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের ডিমনেশিয়া রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ হলেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
আইসিডিডিআর,বি এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ এবং এনআইএনএসের পরিচালক অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় যুক্ত ছিলেন।
৩ বছর আগে
কোভিডের বিরুদ্ধে আইভারমেকটিনের কার্যকারিতা আশাব্যঞ্জক: আইসিডিডিআর,বি
গবেষণায় দেখা গেছে যে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে আইভারমেকটিনের কার্যকারিতা আশাব্যঞ্জক।
৩ বছর আগে
যক্ষ্মা এখনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসাবে দেশে রয়ে গেছে: আইসিডিডিআর,বি
যক্ষ্মা অত্যন্ত সংক্রামক রোগ হিসাবে দেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে রয়ে গেছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ৯৯,০০০ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
৪ বছর আগে
আইসিডিডিআর,বির প্রথম বাংলাদেশি নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) পরবর্তী নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সংস্থাটির আন্তর্জাতিক বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. তাহমিদ আহমেদ।
৪ বছর আগে