দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে শনিবার দেশে একদিনে ৭৭ জন জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৭৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে আরও ৫ হাজার ৮১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬ জনে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪৮টি পরীক্ষাগারে ২৯ হাজার ২৯৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৯ হাজার ৩৭৬টি নমুনা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯.৮১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ২১২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমকি ২০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
রবিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৫২ লাখ ১৯ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৯ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৩৪ জনের।
আরও পড়ুন: করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন অধিকাংশ ক্রিকেটার
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৯ হাজার ২১২ জন।