আইওএম জানিয়েছে, সাইক্লিংয়ের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার জন্য ‘২০৩০ এজেন্ডা’ এবং জাতিসংঘের ‘সবুজ পুনরুদ্ধার’ সুপারিশগুলোর সাথে সঙ্গতি রেখেই আইওএম এর রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদের সাইকেল সরবরাহ করে ক্যাম্পগুলোতে বার্তা বিতরণের কাজে সহায়তা করছে। সাইকেল-আরোহী স্বেচ্ছাসেবকরা মেগাফোনের মাধ্যমে রেকর্ডকৃত বার্তাগুলো ক্যাম্পের প্রতিটি এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছে।
তারা জানায়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের জন্যই রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং ইতোমধ্যে ক্যাম্পের ৬৭,০০০ সুবিধাভোগীর কাছে এসব বার্তা পৌঁছে গেছে।
এ কার্যক্রমে অংশ নেয়া রোহিঙ্গা সাইকেল-আরোহী স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘এরকম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমার ক্যাম্প এলাকার জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে পেরে আমি খুব খুশি। তাছাড়া এই কাজের মাধ্যমে আয় দিয়ে আমি আমার পরিবারের ভরণপোষণও করতে পারছি।’
কোভিড-১৯ সম্পর্কিত তথ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা সম্পর্কিত তথ্য বিতরণকৃত বার্তার বিষয়বস্তুতে থাকে। বেঙ্গল ক্রিয়েটিভ মিডিয়া এবং ট্রান্সলেটরস উইথআউট বর্ডারসের অনুবাদকদের সহায়তায় বাংলা, ইংরেজী এবং রোহিঙ্গা ভাষায় এসব বার্তা রেকর্ড করা হয়। বার্তাগুলো ইউএসবি ড্রাইভে সংরক্ষিত থাকে, যাতে বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথে তথ্য বিতরণ সহজেই অভিযোজিত পারে এবং শিবিরের যেখানে যানবাহন চলাচলে সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেখানেও যেন তথ্য সহজেই বিতরণ করা যায়। রিকশার মাধ্যমে তথ্য প্রবাহের পদ্ধতির মতই সাইকেলের মাধ্যমে বিকল্প যোগাযোগ পদ্ধতিটি পরিবেশ বান্ধব এবং স্বেচ্ছাসেবক-উপকারভোগীদের স্বাস্থ্য ও জীবিকাতে অবদান রাখে। এই উদ্যোগ অর্থনৈতিকভাবেও সাশ্রয়ী।