নগরীর এক হোটেলে অনুষ্ঠিত ঢাকা ক্যান্সার সামিট-২০১৯ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার আমরা বেশ কিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছি এবং আরও কিছু অনুমোদন দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি ইন বাংলাদেশ (এমওএসবি) ‘অভিজ্ঞতা ভাগ কর, পার্থক্য তৈরি কর’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মান্নান বলেন, দেশে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার মতো ভালো কিছু প্রতিষ্ঠান থাকার পরও বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। ‘চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা চিকিৎসা খাতের উন্নয়ন ঘটাতে চাই,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশের অবকাঠামো এবং জ্ঞানসহ অনেক কিছুতেই ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের জন্য আরও ভালো সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে।’
মান্নান জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল আহসান দিদার।
এমওএসবির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দেশে প্রতি বছর প্রায় ১,৫০,০০০ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী মারা য়ায়।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. খান আবুল কালাম আজাদ সরকারকে প্রতিটি সেক্টরের জন্য ভালো পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
‘উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য দেশ আরও বেশি দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজনের কথাও বলেন তিনি।
ক্যান্সার রোগকে দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হলেও চিকিৎসা খাতে দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই। তাই, আমাদের এদিকে জোর দিতে হবে।’
এমওএসবির সভাপতি অধ্যাপক পারভীন শাহিদা আক্তার, সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ডা. এম এ হাই ও মোহাম্মদ এবাদুল করিম এমপি প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।