ক্যান্সার
বাংলাদেশ হলো ‘গোল্ডেন মাইন ফর রিসার্চ’: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘জনবহুল দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ হলো গোল্ডেন মাইন ফর রিসার্চ। বিশেষ করে মলিক্যুলার লেভেল অব দ্য ক্যান্সার রিসার্চের জন্য। এ বিষয়ে কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ গবেষণা করতে পারে বাংলাদেশ।’
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথ উদ্যোগে গবেষণা পরিচালনা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকে ইউনিভার্সেল হেলথ্ কেয়ারে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি জাপানের মতো কোরিয়ায়ও বাংলাদেশি নার্স পাঠাতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যাশা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে কাজ করতে আগ্রহী ইউনিসেফ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাপানে ইতোমধ্যে ২৫ জন নার্স পাঠানো হয়েছে। আরও ৫০ জন নার্স পাঠানোর জন্য পাইপলাইনে আছেন।
এ সময় তিনি জরুরি রেসপন্স, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও জয়েন্ট রিসার্চ চালুতে এবং মধ্য আয়ের মানুষের জন্য কোরিয়ার সহযোগিতায় আগারগাঁওয়ে ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট সুপার স্পেশাল হসপিটাল নির্মাণ উদ্যোগ গ্রহণকে স্বাগত জানান।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ-কোরিয়ার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৭ মাস আগে
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে মস্তিষ্ক। শারীর-বৃত্তীয়ভাবে শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোর উপর আধিপত্য থাকে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের। পেশী কার্যকলাপের ধারা বজায় রাখা এবং হরমোন নিঃসরণের মতো কার্যকলাপ নির্ভর করে এর সক্রিয়তার উপর। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এর কার্যকারিতার অসামঞ্জস্যতা বিরূপ প্রভাব ফেলে সারা শরীরের ওপর। এমনি একটি স্বাস্থ্য জটিলতা মস্তিষ্কে রক্তপাত, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে মৃত্যু ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এই রোগের নিরসণকল্পেই আজকের স্বাস্থ্য বিষয়ক নিবন্ধ। চলুন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণ ও লক্ষণসহ এর প্রতিরোধের উপায়গুলো জেনে নেই।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ কী
ট্রমা বা বাহ্যিক ভয়াবহ কোন আঘাতের কারণে রক্ত প্যারেনকাইমা বা মস্তিষ্কের টিস্যুগুলোকে উদ্দীপিত করে। এতে করে টিস্যুগুলো ফুলে যায়। এই অবস্থার নাম সেরিব্রাল এডিমা। এ সময় রক্ত জমাট বেধে হেমাটোমার সৃষ্টি করে। ফলে কাছাকাছি অন্যান্য টিস্যুতে চাপ ছড়িয়ে পড়ে মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় রক্ত প্রবাহ হ্রাস করে। এতে করে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কোষগুলোকে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
মাথার খুলির মধ্যে সংঘটিত এই ঘটনাকে সামগ্রিক ভাবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বলা হয়ে থাকে। চিকিৎসা শাস্ত্রে এটি ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ (আইসিএইচ), হেমোরেজিক স্ট্রোক বা ব্রেন হেমোরেজ নামে পরিচিত।
এই রক্তপাত মাথার খুলির ভেতরে বিভিন্ন স্থানে ঘটতে পারে। যেমন- মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে, মস্তিষ্ক ও একে ঘিরে আচ্ছাদিত ঝিল্লির মধ্যে অথবা ঝিল্লির স্তরগুলোর মধ্যে।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
মস্তিষ্কে রক্তপাত কাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ
সেরিব্রাল রক্তপাত বিশেষ করে পুরুষ এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি ঘটে। আক্রান্তদের প্রায় ৪৪ শতাংশই এক মাসের মধ্যে মারা যায়। ৮৫ বা তদূর্ধ্ব বয়স্কদের আইসিএইচ হওয়ার সম্ভাবনা মধ্যবয়স্কদের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ গুণ বেশি। এছাড়া নিয়মিত ধূমপায়ীদেরও মস্তিষ্কেও এমন রক্তপাতের জন্য সহায়ক পরিবেশ বিরাজ করে।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণ
মাথায় ভয়াবহ আঘাত
৫০ বছরের কম বয়সীদের মস্তিষ্কে রক্তপাতের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল বাহ্যিক আঘাত। সাধারণত সড়ক দুর্ঘটনা, কোথাও পড়ে যাওয়া, খেলাধুলা সংক্রান্ত আঘাত, বা সহিংসতা বা হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাতের সম্ভাবনা থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ
সেরিব্রাল হেমোরেজের ক্ষেত্রে আরও একটি শ্রেণী অনেক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। আর সেটি হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ সম্পন্ন ব্যক্তিদের শ্রেণী। অনেক সময় নিয়ে এই অবস্থার উদ্ভব হলেও এটি রক্তনালীর দেয়ালকে ভয়ঙ্কর ভাবে দুর্বল করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
রক্ত জমাট বাধা
মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাধলে রক্তনালী ভেঙ্গে ভেতরটা রক্তে ভরে গিয়ে ধমনী ব্লক করে দেয়। ফলে রক্ত মস্তিষ্কের বাইরে বেরতে না পেরে রক্তের কোষগুলো ভেঙে মস্তিষ্কের টিস্যুতে ছড়িয়ে পরে। ফলে পর্যাপ্ত অস্কিজেন না পাওয়ায় মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
অ্যানিউরিজম
এটি মূলত রক্তনালীর প্রাচীরের একটি সমস্যা, যেটি হলে প্রাচীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে যায়। এই ফোলা অংশ ফেটে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তপাত ঘটতে পারে, যেটি সরাসরি স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যায়।
আর্টেরিওভেনাস ম্যালফর্মেশন্স
রক্তনালীর এই অবস্থাটি মূলত ধমনী এবং শিরাগুলোর মধ্যকার সংযোগস্থলগুলোতে চিড় ধরাকে বোঝায়। রক্তনালী যতই দুর্বল হতে থাকে মস্তিষ্কের মধ্যে ও তার চারপাশে ততই এই সমস্যাটি বাড়তে থাকে।
অ্যামাইলয়েড অ্যাঞ্জিওপ্যাথি
এটি মস্তিষ্কের রক্তনালীর দেওয়ালগুলোতে অ্যামাইলয়েড-বিটা প্রোটিন জমা হওয়াকে নির্দেশ করে। এই অস্বাভাবিকতা কখনও কখনও বার্ধক্য এবং উচ্চ রক্তচাপের ফলস্বরূপ ঘটে থাকে। এটি চূড়ান্ত অবস্থায় যাওয়ার আগে অনেক ছোট ছোট হেমোরেজের কারণ হতে পারে, যেগুলোর অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির অলক্ষ্যেই থেকে যায়।
আরও পড়ুন: জিমে অনুশীলনের সময় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়
রক্ত-সংক্রান্ত ব্যাধি
হিমোফিলিয়া এবং সিকেল সেল অ্যানিমিয়া রোগের কারণে রক্তের প্লেটলেট এবং জমাট বাঁধার মাত্রা হ্রাস পায়। রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়াটাও আইসিএইচ-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
যকৃতের রোগ
যখন যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বিষক্রিয়া রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে স্নায়ুতন্ত্রে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিষগুলোতে থাকে অ্যামোনিয়া এবং ম্যাঙ্গানিজ, যেগুলো স্নায়ু কোষের ক্ষতি করতে পারে।
ব্রেন টিউমার
এটি একটি ক্যান্সার যা কতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে নির্দেশ করে। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু থাকে সুপ্ত, যেগুলোকে ম্যালিগন্যান্ট বলা হয়ে থাকে। টিউমার মস্তিষ্কে শুরু হতে পারে, আবার শরীরের অন্য কোথাও শুরু হয়ে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি যে কারণে
৭ মাস আগে
ক্যান্সারে আক্রান্ত রাজা চার্লস: বাকিংহাম প্যালেস
বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জানানো হয়েছে, রাজা তৃতীয় চার্লস এক ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
বাকিংহাম প্যালেস বলছে, রাজার সাম্প্রতিক প্রোস্টেট চিকিৎসার সঙ্গে ক্যান্সারের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ৭৫ বছর বয়সী রাজা কি ধরনের ক্যান্সার হয়েছে তা জানানো হয়নি।
প্যালেস বলেছে, গত মাসে প্রোস্টেট বেড়ে যাওয়ায় চার্লসের চিকিৎসার সময় ‘উদ্বেগজনক পৃথক একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল’। ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায় ক্যান্সারের একটি রূপ শনাক্ত হয়েছে।
প্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মহামান্য রাজার আজ নিয়মিত চিকিৎসার সময়সূচি ছিল। তখন ডাক্তাররা তাকে জনসাধারণের মুখোমুখি হতে হয় দায়িত্ব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। এই সময়ের মধ্যে মহামান্য রাজা যথারীতি রাষ্ট্রীয় বিষয় ও সরকারি কাগজপত্র গ্রহণ করতে থাকবেন।’
এতে আরও বলা হয়, চার্লস তার চিকিৎসা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ইতিবাচক রয়েছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পূর্ণ তার দায়িত্বে ফিরে আসার প্রত্যাশায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিয়ে মাথায় রাজমুকুট পড়লেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস
রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী এইচপিভি টিকাদান অভিযান শুরু
ইউনিসেফ, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এর প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো, দেশের লাখ লাখ মেয়ে ও নারীদেরকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা। প্রতি বছর হাজার হাজার নারীর জীবন কেড়ে নেয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সার।
এই টিকাদন কার্যক্রম প্রথমে ঢাকা বিভাগে শুরু হবে। পরে পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগে বাস্তবায়ন করা হবে।
এই কর্মসূচির আওতায় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুসহ প্রায় এক কোটিরও বেশি মেয়েদের বিনামূল্যে এই এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।
প্রথম পর্যায়ে, মোট ১৮দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। টিকা গ্রহণে উপযুক্ত মেয়েরা ভ্যাক্সেপি অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে ঢাকায় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অথবা মনোনীত টিকাদান কেন্দ্রে এইচপিভি টিকা নিতে পারবে। ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগের মেয়েদের এই টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার দেশের সকল জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে বদ্ধ পরিকর। ইতোমধ্যেই সরকার টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদানের মাধ্যমে মা ও শিশু মৃত্যু এবং পঙ্গুত্ব রোধে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। বৈশ্বিক কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবিলাতেও বাংলাদেশ সারাবিশ্বে নিজেকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু ১৭ সেপ্টেম্বর
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমের অসামান্য সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে গ্যাভি কর্তৃক ভ্যাকসিন হিরো সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ইপিআই কার্যক্রমের ইতিহাসে একটি মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা উপনীত হয়েছি, কারণ আজ আমরা জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মত একটি প্রাণঘাতী রোগের বিরুদ্ধে ১ ডোজ এইচপিভি টিকা প্রদানের মাধ্যমে দেশকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারমুক্ত করার মহৎ যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি।’
গ্যাভির সহায়তায় ইউনিসেফ ঢাকা বিভাগের মেয়েদের জন্য ২৩ লাখ এইচপিভি টিাকা সরবরাহ করেছে। সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং স্কুল থেকে ঝরে পড়া ও এইচপিভি টিকা গ্রহণের উপযুক্ত পথ শিশুদের এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভির কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডেলিভারি ম্যানেজিং ডিরেক্টর থাবানি মাফোসা বলেন, ‘জীবন রক্ষাকারী এইচপিভি টিকা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়ে বাংলাদেশের কিশোরীদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপক পরিসরে এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন বাংলাদেশে সব মেয়ের সুস্বাস্থ্য ও বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং দেশে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দারুণ সহায়ক হবে। জীবন রক্ষায় সাহায্যকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টিকা তৈরিতে সহযোগিতা করতে পেরে গ্যাভি গর্বিত।’
জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) থেকে। আর এইচপিভি টিকার মাত্র একটি ডোজই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘এটি দুঃখজনক যে বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে বিপুল সংখ্যক নারীর মৃত্যু হয়। অথচ অল্প বয়সে মেয়েদের মাত্র এক ডোজ টিকা দিয়ে এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। এইচপিভি টিকা প্রদানে সরকারকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই টিকার মাধ্যমে দেশের কয়েক লক্ষ মেয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাবে, নিশ্চিত হবে কিশোরী মেয়েদের ভবিষ্যৎ।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ: টিকাদান নিশ্চিত করতে দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
এই টিকাদান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং শিক্ষক, বাবা-মা ও ধর্মীয় নেতাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হয়েছে, যাতে কোনো মেয়ে এই টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না পড়ে।
বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বারদান জাং রানা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিবেচনায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার-এর অবস্থান দ্বিতীয়; দেশে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘অনুমান করা হয় যে বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে প্রায় ৮ হাজার ৩০০টি নতুন কেস ধরা পড়ে এবং এই রোগে ৪ হাজার ৯০০ জন মারা যায়। আমরা এই পরিসংখ্যান পরিবর্তন করতে পারি যদি এখনই পদক্ষেপ নেই এবং নিশ্চিত করি যে, ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রতিটি মেয়ে এইচপিভি টিকার একটি করে ডোজ পাবে। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর টিকাগুলোর একটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকা গ্রহণে উপযুক্ত মেয়েদের জন্য ঢাকা বিভাগে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। এই উদ্যোগ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উভয় ক্ষেত্রে আমাদের নারীদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ এই টিকা প্রদানে সহযোগিতা করতে পেরে গর্ববোধ করে। পাশাপাশি এইচপিভি টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত কিশোরীদের সহায়তা করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করে।’
তিনটি পর্যায় শেষ হলে এইচপিভি টিকা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এবং লেখপড়ার বাইরে থাকা ১০ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যকর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই টিকাদান কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি
১ বছর আগে
জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক আর নেই
জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক (৪৯) আর নেই। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) তার পরিবার ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট সম্প্রদায়ের সূত্র উভয়ই নিশ্চিত করেছে।
স্ট্রিক বাংলাদেশের পেস-বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন।
মাত্র কয়েকদিন আগে বিশ্বব্যাপী তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। হিথ স্ট্রিক নিজেই পরে স্পষ্ট করেছিলেন যে তিনি জীবিত ছিলেন।
তার স্ত্রী নাদিন স্ট্রিক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি হৃদয়গ্রাহী পোস্টে স্ট্রিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জীবিত আছি: মৃত্যুর গুজবে হিথ স্ট্রিক
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘#হিথস্ট্রিক-এর মৃত্যুর কথা শুনে শোকাহত। তিনি ৯০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০-এর শুরুতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের উত্থানের একটি উল্লেখযোগ্য এবং খুবই প্রতিযোগিতামূলক নাম।’
আইপিএল এর অন্যতম দল কলকাতা নাইট রাইডার্স হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুতে তাদের শোক প্রকাশ করেছে।
হিথ স্ট্রিক তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ২৫৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ৪৫৫টি উইকেট লাভের পাশাপাশি ৪৯৩৩ রান সংগ্রহের অসাধারণ কৃতিত্ব রয়েছে তার।
তিনি চিরকাল তার যুগের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ক্রিকেটার হাসান মাহমুদ
গাড়ি দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত
১ বছর আগে
বউ সেজে ঐন্দ্রিলার শেষ জন্মদিন
কিছুদিন আগেই না ফেরার দেশে চলে যান কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে হেরে যেতে হয় তাকেই। এই তারকার চলে যাওয়ার শোকাহত টলিউড পরিবার।
ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন স্মৃতির কথা পোস্ট করেন তার কাছের অনেকে।
কলকাতার এই জনপ্রিয় তারকার জন্মদিন ৫ ফেব্রুয়ারি। এ বছর তার জন্মদিন পালন করেন বউ সেজে। তবে সেটি নিয়ে শুরুতে অনেক কৌতুহল তৈরি হলেও জানা যায় সেটি ছিল একটি নাটকের দৃশ্যের কস্টিউম।
আরও পড়ুন: নিলয় ও সারিকার ‘এক টিকেটে দুই ছবি’
সান বাংলায় প্রচারিত হওয়া ‘জিয়নকাঠি’ সিরিয়ালের শুটিং ইউনিটের সবার সঙ্গে শেষ জন্মদিনটি পালন করেন ঐন্দ্রিলা। আর সেদিন তার কস্টিউম ছিল বউয়ের সাজ।
সেই সাজেই শুটিং ইউনিটের সবার সঙ্গে বিশেষ দিনটি পালন করেছিলেন না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার কলকাতার এই তারকা।
আরও পড়ুন: অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা মারা গেছেন
মঞ্চ তৈরি, অপেক্ষা নোরা ফাতেহির
১ বছর আগে
ক্যান্সার খুঁজতে দেহের ভিতর সাঁতার কাটবে রোবট
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মনে হলেও বাস্তবেই ক্যান্সার খুঁজতে দেহের ভিতর সাঁতার কাটবে ক্ষুদ্র রোবট। বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পূর্ণরূপে সার্জারি, রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু একটি টিউমার ধ্বংস করার সময় কেমোথেরাপিগুলো অনিবার্যভাবে ভালো কোষগুলোতেও আঘাত করে। ফলে নিশ্চিতভাবেই রোগীকে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর শিকার হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়।
কিন্তু ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর এই রোবট প্রযুক্তি হতে যাচ্ছে এই সব জটিলতার অবধারিত প্রশ্নের একমাত্র উত্তর। সেদিক থেকে এই ধারণাটি দেহের ভেতর অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি না করে সঠিক জায়গায় ওষুধ পৌঁছাতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। চলুন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই অসাধারণ বিকাশ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
কিভাবে কাজ করবে এই ক্ষুদ্র রোবট
হামাগুড়ি, ডিগবাজি এবং ভেসে থাকা বা সাঁতার কাটতে পারা এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রোবটের আসল উদ্দেশ্য দেহের সংকীর্ণ স্থানগুলোর স্বাভাবিক কাজগুলো তদন্ত করে সেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা। বিভিন্ন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন আকৃতি দিয়েছেন এই রোবটগুলোকে। কোনটি মাছ, কোনটি কাঁকড়া, প্রজাপতি; আবার কোন কোন বিজ্ঞানী দল ক্রমাগত আকার বদলাতে পারা রোবট তৈরি করেছেন।
পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
গবেষণায় এগুলো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ক্যান্সার কোষে পৌঁছার জন্য সফলভাবে রক্তনালীর মধ্য দিয়ে চলতে পেরেছে। সাধারণত যে কোন টিউমারের জন্য অম্লীয় পরিবেশ দায়ী, আর এই অম্লত্ব বোঝার পরিমাপক হচ্ছে পিএইচ (পটেনশিয়াল অফ হাইড্রোজেন)। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরের ভেতরটা বিভিন্ন দ্রবণের পরিপূর্ণ।
ক্ষুদ্র রোবটগুলো নিজেদের আকার পরিবর্তন করার মাধ্যমে যে কোন দ্রবণের পিএইচ কমাতে পারে। কোন দ্রবণে বিচরণের সময় সেখানকার পিএইচ কমানোর সাথে সাথে এগুলো সঙ্গে করে বয়ে চলা ক্যান্সার প্রতিরোধী ওষুধ ছেড়ে দেয়। ফলে কাছাকাছি থাকা ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
ক্যান্সার নিরাময়ে ক্ষুদ্র রোবটের সাম্প্রতিক অগ্রগতি
আকৃতি পরিবর্তনকারি ক্ষুদ্র রোবটগুলো নিয়ে কাজ করেছিলেন জিয়াওয়েন লি, লি ঝাং, ডং উ ও তাদের সহকর্মী সহ চাইনীজ এক বিজ্ঞানী। তাদের আকৃতি বদল করতে পারা ক্ষুদ্র রোবটগুলো টার্গেটকৃত স্থানে ওষুধ সরবরাহ করতে চৌম্বক শক্তি ব্যবহার করে। আর এ শক্তি যোগান দেয়ার জন্য সেগুলোকে রাখা হয় আয়রন অক্সাইড দ্রবণে। পূর্বে এই রোবটগুলো বেশিরভাগ সময়ই ওষুধ ছেড়ে দেওয়া বা দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করার সময় আকৃতি বদলাতে পারতো না। কিন্তু এখন এই সব জটিলতা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে। তাত্ত্বিকভাবে, এগুলো মানুষের রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করানো যেতে পারে এবং চুম্বকের মাধ্যমে টিউমারের দিকে আক্রমণ করা যেতে পারে।
পড়ুন: জাপানে ছোট দোকানগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে বুদ্ধিমান রোবট
একই রকম আকৃতি বদলাতে পারা রোবটে সফল হয়েছিলেন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ডের বিজ্ঞানীরাও। এদের রোবটগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে-এগুলো লক্ষ্যে না পৌছানো পর্যন্ত ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রাখে। টার্গেটের কাছাকাছি পৌঁছে এরা উচ্চ-ঘনত্বের ওষুধ ছেড়ে দেয়। অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকৃতি এগুলোকে এই উদ্দেশ্য হাসিলে আলাদা সুবিধা দেয়।
রোবটগুলোর আরো একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এদের কেন্দ্রে রয়েছে একটি দীর্ঘ গর্ত এবং পার্শ্বগুলো কোণাকৃতির। এতে করে এরা সম্মুখ দিক থেকে তরল পদার্থের ধাক্কা উপেক্ষা করে দ্রুত গতি সাঁতরে চলতে পারে।
পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
আমেরিকার বায়োনট ল্যাবসের বিজ্ঞানীরাও তৈরি করেছেন ক্ষুদ্র রোবট যেটি রক্তের প্রবাহের মধ্য দিয়ে সাঁতার কেটে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে এবং মস্তিষ্কের টিউমারগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করতে পারে। সম্প্রতি বায়োনট ল্যাবস ক্যান্ডেল থেরাপিউটিকসের সাথে যৌথ উদ্যোগে ব্রেন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অভিনব ওষুধ সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছে।
তাদের পরিকল্পনা হল ক্যান্ডেলের ওষুধ এবং বায়োনাটের দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত ক্ষুদ্র রোবটকে একত্রিত করা, যাতে কার্যকরভাবে মস্তিষ্কের টিউমারগুলোকে লক্ষ্য করা যায়। রোবটগুলো বায়োনটস নামে পরিচিত এবং এগুলো চুম্বক শক্তির মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কের টিউমার লক্ষ্যে যাত্রা করতে পারে।
স্পেনের বার্সেলোনার ক্যাটালোনিয়ার ইনস্টিটিউট ফর বায়োইঞ্জিনিয়ারিং-এর রসায়নবিদ স্যামুয়েল সানচেজ মূত্রাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য তৈরি করছেন অতি ক্ষুদ্রকায় রোবট। এগুলোতে থাকা ন্যানোমোটরগুলো মৌচাকের ন্যায় ছিদ্রযুক্ত সিলিকা ন্যানো পার্টিকেল, ক্ষুদ্র সোনার কণা এবং ইউরিস এনজাইম দ্বারা গঠিত। ৩০০ থেকে ৪০০ ন্যানোমিটার এই রোবটগুলো মূত্রাশয়ের রাসায়নিক ভাঙ্গনের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অ্যামোনিয়াতে পরিণত হয়।
পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়
ক্যান্সার নিরাময়ে দেহের ভিতর সাঁতরে চলা রোবট প্রযুক্তির অনুপ্রেরণা
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই পুরো ধারণাটি অনেকাংশে মিলে গেছে ১৯৬৬ সালের ফিল্ম ফ্যান্টাস্টিক ভয়েজ-এর সাথে। এখানে একটি ক্ষুদ্র সাবমেরিন একদল গবেষককে নিয়ে একজন বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কে রক্তের জমাট বাঁধা অপসারণের অভিযানে যায়। এখানে দেখানো হয়, সাবমেরিনের সাথে সাথে তার আরোহীরাও সঙ্কুচিত হয়ে একদম ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে গিয়েছিল।
অতঃপর তারা রক্তনালীর রক্তপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাত্রা করে চূড়ান্ত ভাবে সেই বিজ্ঞানীর ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কল্পকাহিনী একদম হুবহু অনুকরণ করা সম্ভব না হলেও রক্তশিরায় ক্ষুদ্র রোবটের সাঁতরে চলা বিরাট এক পদক্ষেপ। দূর থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য মাছের আকৃতির ওষুধ সরবরাহকারি রোবট আরোহীসহ সঙ্কুচিত সাবমেরিনের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়।
অন্যদিকে, স্ট্যানফোর্ড বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনের অনুপ্রেরণা ছিল জাপানের অরিগ্যামি শিল্প, যেখানে কাগজ ভাজ করে বিভিন্ন আকৃতির অবয়ব তৈরি করা হয়। কিন্তু এই প্রভাবটি শুধুমাত্র কাঠামোগত দিক থেকেই ছিল। কাজের দিক থেকে এই রোবটগুলো শরীরের অভ্যন্তরে যে কোন পরিবেশে নিজেদেরকে অপরিবর্তিত রেখে ভেসে যেতে পারে।
পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
চিকিৎসা বিজ্ঞানে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন
স্ট্যানফোর্ডের রোবটগুলো শুধুমাত্র কার্যকরভাবে ওষুধ সরবরাহই করবে না, পাশাপাশি শরীরের ভেতরে ক্যামেরাও বহন করতে পারবে। এতে ডাক্তাররা রোগীদের রিয়েল-টাইম পরীক্ষা করতে পারবেন। দলটি আল্ট্রাসাউন্ড ইমেজিং ব্যবহার করে রোবটগুলোর বিচরণ ট্র্যাক করার জন্যও কাজ করছে। এটি সফলভাবে প্রয়োগ সম্ভব হলে অঙ্গ কাটার বিড়ম্বনা দূর হবে।
স্প্যানীশ রসায়নবিদ সানচেজের মূত্রাশয় ক্যান্সার বিধ্বংসী রোবটগুলোকে একদম শিরাপথে প্রবেশ করানোর পরিকল্পনা চলছে। এতে করে ক্যান্সারের কোষটির দিকে থেরাপিউটিক এজেন্টের কার্গোকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করা যাবে। এর কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহারের প্রচেষ্টা চলছে। সর্বসাকূল্যে বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে নেতৃত্ব দেয়া গেলে অ্যান্টিবডি টিউমার চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করতে পারবে। এটি যদি সম্ভব হয়, তাহলে সম্ভাব্য সব রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো যাবে।
পরিশিষ্ট
স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও অস্ত্রোপচারে রোবটের ব্যবহারিক প্রয়োগের গবেষণা চিকিৎসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় অবদান রাখছে। অস্ত্রপোচারে ক্ষুদ্র জায়গায় যতটা সুক্ষভাবে কাজ করা যায় তা ততটাই সুফল দেয়। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে আধুনিক মাইক্রোবট (ক্ষুদ্র রোবট) প্রযুক্তি। তবে মূলধারার চিকিৎসায় এই প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে উপলব্ধ হতে এখনো দীর্ঘ পথ বাকি। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই ক্রমবর্ধমান জোয়ার ক্ষুদ্র রোবটের মাধ্যমে বিপুল পরিসরে কার্যকরী স্বাস্থ্যসেবার অগ্রদূত হয়ে থাকবে।
পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
২ বছর আগে
হাসপাতালে বিয়ে: ১১ দিনের মাথায় না ফেরার দেশে ফাহমিদা
চট্টগ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিয়ে করে আলোচিত সেই ফাহমিদা কামাল (২৫) অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন।
সোমবার সকালে নগরীর বাকলিয়াস্থ নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়।তার পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ফাহমিদা কামালের নানা চট্টগ্রাম সিটি করপোশনের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন সাকীর জানান, হাসপাতালে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর ফাহমিদা হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে যেতে অস্থির হয়ে উঠেছিল। তার ইচ্ছেতেই কয়েকদিন আগে তাকে দক্ষিণ বাকলিয়ার বাসায় নেয়া হয়। সেখানে আজ সোমবার সকালে সে মারা যায়।
জানা যায়, কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হকের ছেলে মাহমুদুল হাসান নর্থ সাউথ থেকে এমবিএ আর চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ বাকলিয়াতে জন্ম নেয়া ফাহমিদা কামাল আইইউবি থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেছে। শিক্ষাজীবনে দুজনের পরিচয়।একসময় তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। একসময় ফাহমিদার শরীরে বাসা বাধে মরণঘাতী ক্যান্সার।
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এভারকেয়ার পরবর্তীতে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ একবছর চিকিৎসার পর ডাক্তাররা জানিয়ে দেন তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: ‘হাসপাতাল বেডেই মৃত্যু পথযাত্রী প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন প্রেমিক’
শেষ চেষ্টা হিসেবে পরিবারের সদস্যরা ২৫ বছর বয়সী ফাহমিদাকে চট্টগ্রামে নিয়ে এসে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করাই। সেখানে চলতে থাকে চিকিৎসা। কিন্তু ক্রমাগত ফাহমিদার শারীরিক অবস্থায় অবনতি হতে থাকে।
ফাহমিদা ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পরও চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে তাকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রেমিক মাহামুদুল হাসান।
অবশেষে উভয় পরিবার সম্মতিতে গত ৯ মার্চ রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল বেডে বউ সাজিয়ে এক টাকা কাবিনে বিয়ের আয়োজন হয় তাদের।
তবে বিয়ের ১১ দিনের মাথায় পরপারে চলে গেলেন ফাহমিদা কামাল।
২ বছর আগে
ঢাকার বাতাস এখনও 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের গুণমান এখনও 'অস্বাস্থ্যকর'। রবিবার সকাল ১০ টা ৪৩ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৮ নিয়ে সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের শহরের সর্বশেষ তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের লাহোর, রাশিয়ার ক্রাসনোয়ারস্ক ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২৫২, ১৯৫ ও ১৭৪ একিউআই সূচক নিয়ে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয় বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের মান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বাতাসের মান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে, বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি৷ দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তি হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী বাধা পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসকষ্ট সংক্রমণের ফলে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সমুদ্র বন্দরসমূহকে সর্তক থাকার নির্দেশ
২ বছর আগে
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১২ হাজার টাকায় ক্যান্সার চিকিৎসা
এখন থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বিশ্বখ্যাত আইসোটোপ-বিহীন ইলেক্ট্রনিক ব্রাকিথেরাপিতে সাশ্রয়ী খরচে ক্যান্সার চিকিৎসা করা যাবে। এতে মোট খরচ লাগবে মাত্র ১২ হাজার টাকা।
৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে শনিবার ( ৫ ফেব্রুয়ারি) এক সেমিনারের আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। এতে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এসময় প্রতিষ্ঠানটি ক্যান্সার চিকিৎসার নানা দিক তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্যের কিট অকার্যকর: বিএসএমএমইউ
সভাপতির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ক্যান্সার হলে একজনের মৃত্যু ঘটে না, পুরো পরিবারের মৃত্যু ঘটে। জায়গা জমি বিক্রি করে দিতে হয়। চিকিৎসা ব্যায়ের তুলনায় সাময়িক নিরাময় হলেও পূর্ণাঙ্গ নিরাময় হয় না। আগে ক্যান্সার চিকিৎসার পদ্ধতি অনেকটা জটিল ছিল। কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রযুক্তিতে যে মেশিন আবিষ্কার হয়েছে সেটাই ক্যান্সার চিকিৎসা সহজ হয়েছে। নতুন এই মেশিনে কোন সোর্স ব্যবহার করতে হয় না। ডিস্পোজালের ঝামেলা নেই। সময় কম লাগে। এটা বাংলাদেশের প্রথম মেশিন। আমাদের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে কেমোথেরাপির ব্যবস্থা আছে, সার্জিক্যাল অনকোলজির ব্যবস্থা আছে, এখন তো ব্রেকিথেরাপির ব্যবস্থাও আছে এবং আমাদের এখানে বোনমেরু রিপ্লেসমেন্টের ব্যবস্থাও নিয়েছি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা রেডিএক্সেলের (Radixact-7) সব চেয়ে আধুনিক ভার্সনের অর্ডারও দিয়েছি। আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে ডিডিআর এক্সেলেটরও স্থাপন করব।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেস্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ক্যান্সার বিভাগের কোওর্ডিনেটর ডা. সামিম উল মওলা, প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলম।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট সাবেক পরিচালক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যান্সার বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এম এ হাই, জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট সহযোগী অধ্যাপক হাবিবউল্লাহ তালুকদার রাসকিন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, ইতালি থেকে জুমে অংশ নেন দক্ষিণ এশিয়ার জপ্টের প্রধান পিয়ারে ফ্রান্সেসকো, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্ডিওলজি বিভাগে সহযোগি অধ্যাপক সাইদ-উজ জামান অপু প্রমুখ।
২ বছর আগে