এছাড়া বাঁধ মেরামত কাজ দ্রুততায়নের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় আম্পাসে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়াদ্দাহ, শ্যামনগরের তাতিনাখালী, কামালখাটি, আশাশুনি উপজেলার হাজরাখালী, দয়ালঘাট, পদ্মপুকুর ও খুলনার কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ এলাকা স্পিডবোটযোগে পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা অর্থনৈতিভাবে সফল। তাই জনবান্ধব প্রকল্প হাতে নিতে পারছি যাতে আগামীতে এমন জনদুর্ভোগ না হয়।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আম্পান আঘাত হানার পরপরই পানি সম্পদ উপমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে এবং পানি সম্পদ সচিব সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আজ আমি নিজে এসেছি সরাসরি পরিদর্শনে কোথায় কি প্রতিবন্ধকতা তা নিরূপন করতে।’
এ সময় সাতক্ষীরার-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বাপাউবো) হাবীবুর রহমান, উপসচিব নূর আলম, জেলা প্রশাসক (সাতক্ষীরা) এস এম মোস্তফা কামাল, প্রধান প্রকৌশলী (খুলনা) রফিক উল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী (সাতক্ষীরা) আবুল খায়ের, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু জার গিফারী, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ রেজাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় আনুমানিক ১৭০টি জায়গার প্রায় ৯৯টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধুমাত্র উপকূলীয় অঞ্চলের সমস্যা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।